বগুড়ার কাহালু
বিনোদন পার্ক থেকে বানর, হনুমান ও পাখিসহ ৩৮ প্রাণী উদ্ধার

বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:৪৯ পিএম

বগুড়ার কাহালুতে বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া প্রদর্শন করায় বানর, হনুমান ও পাখিসহ ৩৮টি বন্যপ্রাণী জব্দ করা হয়েছে। ঢাকার বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন টিম বুধবার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার বীরকেদার এলাকায় রাবেয়া পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে প্রাণীগুলো উদ্ধার করেন।
অভিযানে অংশগ্রহণকারী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বগুড়ার কাহালু উপজেলার বীরকেদার বাসস্ট্যান্ড এলাকায় রাবেয়া পার্ক অ্যান্ড রিসোর্ট রয়েছে। মালিক আনিসুর রহমান সেখানে দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য বন বিভাগের অনুমতি ছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির ৩৪টি পাখি, দুটি মুখপোড়া হনুমান ও দুটি রেসাস বানর সংরক্ষণ করেন।
বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ঢাকার পরিদর্শক অসিম মল্লিক ও আবদুল্লাহ আল সাদিক বুধবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ওই পার্কে অভিযান চালান।
তারা দুটি মুখপোড়া হনুমান, দুটি রেসাস বানর, পাঁচটি সবুজ টিয়া, একটি মদন টিয়া, একটি শঙ্খ চিল, তিনটি ভুবন চিলের বাচ্চা, চারটি ডাহুক, একটি পাতি সরালি এবং চারটি বেগুনি কালিম এবং ১৫টি ঘুঘু উদ্ধার করেন।
অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন ইউনিট ঢাকার পরিদর্শক অসিম মল্লিক ও আবদুল্লাহ আল সাদিক জানান, উদ্ধার করা পাখিগুলো তাৎক্ষণিকভাবে অবমুক্ত করা হয়েছে। দুটি মুখপোড়া হনুমান সিলেটের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান ও দুটি রেসাস বানর টাঙ্গাইল অভয়াশ্রমে মুক্ত করা হবে।
তারা জানান, বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ করার অপরাধে ওই পার্কের মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাবেয়া পার্ক অ্যান্ড রিসোর্টের মালিক আনিসুর রহমান জানান, দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য পার্কে হনুমান, বানর ও পাখি রাখা হয়। এসব প্রাণী সংরক্ষণে বন বিভাগের অনুমতির বিষয়টি তার জানা ছিল না। সেই কারণে এ ভুল হয়েছে।
তিনি বলেন, অভিযানে কাহালু উপজেলা সামাজিক বন বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা হাসান আল তারিক, বন বিভাগের সালাউদ্দিন পারভেজ, কাহালু উপজেলা প্রাকৃতিক বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সংস্থার আহসান হাবিব তালুকদার, আবদুল কাদের প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। অভিযানের সময় পার্কের কেউ উপস্থিত ছিলেন না।