Logo
Logo
×

সারাদেশ

জমি নিয়ে বিরোধে যুবক নিহত, ৩ পুলিশ প্রত্যাহার

Icon

রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০৫ পিএম

জমি নিয়ে বিরোধে যুবক নিহত, ৩ পুলিশ প্রত্যাহার

রৌমারীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে শাহাদত হোসেন (৩৭) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এতে পুলিশসহ উভয়পক্ষের ১৭ জন আহত হন। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। 

মঙ্গলবার পুলিশের সামনে দু’পক্ষের এ সংঘর্ষের ঘটনায় এসআই খোকন, কনস্টেবল সোহেল ও কনস্টেবল রাশেদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

বুধবার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ নারীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে।

পুলিশ, স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের ধনারচর গ্রামে আবুল হোসেন ও নুর ইসলামের মধ্যে জমাজমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে আদালত ও থানায় পালটাপালটি একাধিক মামলা রয়েছে। 

ঘটনার দিন বিরোধপূর্ণ জমিতে আবুল হোসেনের পক্ষে শতাধিক ভাড়াটে লোক সরিষা তুলে নিয়ে যাচ্ছিল। এ নিয়ে নুর ইসলামের পক্ষের লোকজন ৯৯৯-এ ফোন দেয়। 

জরুরি সেবার কল পেয়ে এসআই খোকন, কনস্টেবল সোহেল ও রাশেদ ঘটনাস্থলে যান। এ সময় পুলিশের সামনে দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে গুরুতর আহত হন শাহাদত, রিতা, শেফালী, বাছিরন, রাবেয়া, মন্টু মিয়া ও শহিদুল। চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। 

বুধবার সকাল ৭টার দিকে সেখানে শাহাদত হোসেন নামে একজনের মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় আবারও উত্তেজনা বিরাজ করে। খবর পেয়ে ইউএনও, পুলিশ সার্কেল, রৌমারী ও রাজিবপুর থানার ওসিসহ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। 

এ সময় উত্তেজিত জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে ও পুলিশের এসআই শাহাদতের ওপর চড়াও হয়। জনগণের তোপের মুখে পড়ে পুলিশ।

মঙ্গলবার পুলিশের সামনে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় এসআই খোকন, কনস্টেবল সোহেল ও কনস্টেবল রাশেদকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। 

এ ঘটনায় আজিজুল হক নামের একজন বাদী হয়ে ৪৩ জনের নামে ও ৫০-৬০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি করে রৌমারী থানায় একটি হত্যা মামলা করে। আটক ৩ জন হলেন- আফরিনা আকতার, কুপিয়া বেগম ও আফরুজা বেগম। 

রৌমারী থানার ওসি লুৎফর রহমান বলেন, লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য রংপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি নিয়মিত হত্যা মামলা হযেছে।  ৩ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। বাকি আসামিদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম