তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপমন্ত্রী অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেছেন, তিস্তা শুধু একটি নদী নয়, এটি আমাদের সংস্কৃতি, অর্থনীতি ও জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তিস্তা আমাদের জীবনরেখা, এর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতেই হবে।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর তিস্তা ব্রিজ পয়েন্টে ‘তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় ও মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন’ দাবিতে আয়োজিত প্রস্তুতিমূলক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

সাবেক উপমন্ত্রী বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে যেমন পরাজিত করেছি, তেমনই তিস্তাকে শাসন করে মানুষের কল্যাণ প্রতিষ্ঠিত করব ইনশাআল্লাহ।

তিনি বলেন, যারা দীর্ঘ ১৬ বছর রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল, তারা শুধু নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করেছে, জনগণের দিকে তাকায়নি। ৮ হাজার কোটি টাকা দিতে চেয়েছিল চীন। তারা সমীক্ষা ও ডিজাইনও করেছিল, কিন্তু সরকার ভারতের পররাষ্ট্রনীতির কাছে নতজানু হওয়ার কারণে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হয়নি। আমরা আর ভারতের কথা শুনব না। 

তিনি আরও বলেন, বিদেশি সাহায্য ছাড়া বাংলাদেশের অর্থেই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা সম্ভব। আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকি এবং সমস্বরে দাবি উত্থাপন করি, তাহলে যে কোনো সরকারই আমাদের মানতে বাধ্য হবে। নতুন বাংলাদেশের উন্মোচন ঘটেছে। এখন আমরা কথা বলতে পারি, দাবি আদায় করতে পারব ইনশাআল্লাহ। সেই কারণে আমি রংপুরবাসীকে বলি— `জাগো বাহে, তিস্তা বাঁচাই'।

বিএনপির এই নেতা বলেন, এ দাবির সঙ্গে তারেক রহমান ইতোমধ্যে একমত প্রকাশ করেছেন। তিনি ১৮ তারিখ সন্ধ্যায় বক্তব্য দেবেন। আর ১৭ তারিখ বিএনপির মহাসচিব অবস্থান কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন। 

তিনি আশা করেন, জনগণের রায়ে যিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন, তিনি যদি আমাদের দাবির সঙ্গে সমস্বরে কথা বলেন, তাহলে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে।

এতে সভাপতিত্ব করেন গাইবান্ধা জেলা সমন্বয়কারী ও জেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মইনুল হাসান সাদিক। উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাবুল আহমেদ ও সদস্য সচিব মাহমুদুল ইসলাম প্রামাণিকের যৌথ সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির রংপুর বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী টিটুল, সহ-সভাপতি শহীদুজ্জামান শহীদ, মোজহারুল ইসলাম, আব্দুল আউয়াল আরজু, এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম জিন্নাহ, অধ্যাপক ডা. জিয়াউল হক জিয়া, সুন্দরগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ইখতিয়ার উদ্দিন ভূঁইয়া নিপনসহ নেতারা।

আগামী ১৭ ও ১৮ ফেব্রুয়ারি ৪৮ ঘণ্টার লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে। আয়োজকরা সবাইকে এ আন্দোলনে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।