ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:২৭ এএম

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার বালিয়াটি ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করেছে অপহরণকারীরা।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সন্ধ্যায় তাকে
অপহরণ করা হয়েছে। বালিয়াটি ইউনিয়নের শিমুলিয়া
গ্রামের নজর আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী শনিবার সন্ধায় দেড় লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন।
সেই রাতে বাড়িতে না ফিরে আসায় অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়। তাকে না পেয়ে রোববার সাটুরিয়া
থানায় একটি অভিয়োগ করেন তার ভাই আমিনুর ইসলাম।
ইদ্রিস আলীর স্ত্রী নিপা আক্তার জানান, রোববার
দুপুরে তিনবার ফোন দিয়েছে অপহরণকারীরা। তারা মোবাইলে ফোন দিয়ে ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা
মুক্তিপণ দাবি করে। মুক্তিপণ না দিলে তার স্বামীকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয় তারা।
একইভাবে সোমবার অপহরণকারীরা ইদ্রিসের স্ত্রীর কাছে ফোন দিয়ে জানতে চায়, তারা যে টাকা
দাবি করেছে সেই টাকা জোগাড় করা হয়েছে কিনা। পুলিশ ও সাংবাদিকদের জানালে তোর স্বামীর
লাশ পাঠিয়ে দেবে বলে বারবার হুমকি দিয়েছে অপহরণকারীরা।
তিনি জানান, তার স্বামী তাকে জানান, আমি কোথায়
আছি জানি না। টাকার জন্য আমাকে ওরা মারধর ও চাপ প্রয়োগ করছে। ওরা আমাকে বলেছে, টাকা
না দিলে আমাকে মেরে ফেলবে।
নিপা আক্তার বলেন, মুক্তিপণের টাকা কোথায় দিব
তা অপহরণকারীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেছে- ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা দিতে হবে। অপহরণকারীরা
বারবার আমার স্বামীর মোবাইল দিয়ে টাকা চেয়ে নানা হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে।
অপহৃত ইদ্রিস আলী ভুট্টা ও ধানের ব্যবসা করে
এবং একটি মাহেন্দ্র গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে মালামাল আনা নেওয়া করে। এদিকে ইদ্রিস
আলীর তিন মেয়ে বাবার জন্য সারাদিন কান্নাকাটি করছেন।
স্থানীয়রা ধারণা করছেন, অপহরণকারীরা ইদ্রিস
আলীকে অচেতন বা নেশাজাতীয় কোনো বস্তু দিয়ে ভাটারা বাজার বা এর আশপাশের এলাকা থেকে অপহরণ
করেছে।
সাটুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মানবেন্দ্র বালু
বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। অপহরণকারীদের আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ধরার
চেষ্টা করা হচ্ছে। দ্রুত ভিকটিমকে উদ্ধার করতে পারব বলে আমরা আশাবাদী।