ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ৮ লাখ টাকা দাবি

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০৫ পিএম

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার বালিয়াটি ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামের এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে সোয়া ৮ লাখ টাকা দাবি করেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার সন্ধ্যায় তাকে অপহরণ করা হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বালিয়াটি ইউনিয়নের শিমুলিয়া গ্রামের মো. নজর আলীর ছেলে মো. ইদ্রিস আলী শনিবার সন্ধায় দেড় লাখ টাকা নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। সেই রাতে বাড়ি না ফেরায় অনেক খোঁজাখুঁজি করা হয়। তবুও তাকে না পেয়ে রোববার সাটুরিয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন নিখোঁজের ভাই আমিনুর ইসলাম।
ইদ্রিস আলীর স্ত্রী নিপা আক্তার জানান, রোববার দুপুরে তিনবার ফোন দিয়েছে অপহরণকারীরা। মেবাইলে ফোন দিয়ে ৮ লাখ ২৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। না দিলে তার স্বামীকে মেরে ফেলা হবে বলে হুমকি দেয় তারা। একইভাবে সোমবার অপহরণকারীরা ইদ্রিসের স্ত্রীর কাছে ফোন দিয়ে জানতে চায়, টাকা যোগাড় হয়েছে কিনা। সেই সঙ্গে তারা ‘বিষয়টি পুলিশ-সাংবাদিকদের জানালে তোর স্বামীর লাশ পাঠিয়ে দেবো’ বলেও বারবার হুমকি দেয়।
তবে তার স্বামী তাকে জানায় যে, ‘আমি কোথায় আছি জানি না। টাকার জন্য আমাকে ওরা মারধর ও চাপ প্রয়োগ করছে। ওরা আমাকে বলেছে টাকা না দিলে আমাকে মেরে ফেলবে’।
নিপা আক্তার বলেন, মুক্তিপণের টাকা কোথায়, কাকে দেবো- তা অপহরণকারীদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলে, ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা দিতে হবে। অপহরণকারীরা বারবার আমার স্বামীর মোবাইল দিয়ে টাকা চেয়ে নানা হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে।
জানা গেছে, অপহৃত ইদ্রিস আলী ভুট্টা ও ধানের ব্যবসা করেন। এছাড়া একটি মাহেন্দ্র গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন স্থানে মালামাল আনা নেওয়া করে থাকেন।
এদিকে ইদ্রিস আলীর তিন কন্যা সন্তান বাবার জন্য সারাদিন চিৎকার করে কান্নাকাটি করছে।
স্থানীয়দের ধারণা, অপহরণকারীরা ইদ্রিস আলীকে অচেতন বা নেশা জাতীয় কোনো বস্তু দিয়ে ভাটারা বাজার বা এর আশেপাশের এলাকা থেকে অপহরণ করেছে।
এ বিষয়ে সাটুরিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মানবেন্দ্র বালু বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। অপহরণকারীদের আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তায় ধরার চেষ্টা চলছে। খুব দ্রুত আমরা ভিকটিমকে উদ্ধার করতে পারব বলে আশাবাদী।