সিলেট নগরীর অবৈধ অস্ত্র এখনো উদ্ধার না হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী।
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবে, বিশেষ করে গত ৪ আগস্ট নগরীতে অবৈধ অস্ত্রের মহড়া প্রত্যক্ষ করা গেলেও সেসব অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি। এসব অবৈধ অস্ত্র চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এ সময় সারাদেশে শুরু হওয়া অপারেশন ডেভিল হান্টের মাধ্যমে এসব অস্ত্রধারীদের গ্রেফতার করে নগরবাসীর নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান তিনি।
চলমান পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার সিলেটের একটি অভিজাত রেস্তরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন করে সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের ব্যাপারে বিএনপি জিরো টলারেন্সে রয়েছে উল্লেখ করে আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর এসব অভিযোগে সিলেটে বিএনপি ১০ জনকে বহিষ্কার করেছে। সমাজবিরোধী কাজের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ভাঙচুরের সঙ্গে বিএনপির কোনো পর্যায়ের নেতাকর্মী জড়িত নেই।
পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকার প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে জাতিকে একটি সুন্দর ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সিসিকের সাবেক প্যানেল মেয়র ও কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মধ্যদিয়ে দেশে অন্তর্বর্তী সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ে দীর্ঘ ১৭ বছর যাবত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় আন্দোলন সংগ্রাম করেছে বিএনপি। কিন্তু সিলেটের প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা সঠিকভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করছেন না। যা নিয়ে সিলেটের সচেতন মানুষের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এ সময় তিনি অন্তর্বর্তী সরকার ও প্রশাসনে থাকা সমস্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার দাবি জানান তারা। অন্যথায় দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে সিলেটের মানুষ ক্ষমা করবে না এবং যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার দায়ভার বিএনপি কোনোভাবেই নেবে না বলেও উল্লেখ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে সাম্প্রতিক সময়ে আদালত থেকে একাধিক মামলায় আসামিদের জামিন নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলা হয়, এতে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, পতিত স্বৈরাচারের দোসররা এখনো সিলেটের আদালতসহ বিভিন্ন জায়গায় বহাল তবিয়তে আছে। ঘাপটি মেরে থাকা ফ্যাসিজমের দোসরদের প্রতি তাদের দৃষ্টি রয়েছে। তারা যদি ভবিষ্যতে আদালত ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে কোনো অসৎ উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের চেষ্টা করে, তাহলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে তা আমরা প্রতিহত করবো।
এ সময় হতাশা প্রকাশ করে বলা হয়, আদালতের বিচারকরা তাদের মনগড়া জামিন দিচ্ছেন, যা চরম হতাশাজনক।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী ও মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, মহানগর বিএনপির সহ সভাপতি ডা. নাজমুল ইসলাম, ডা. আশরাফ আলী, রহিম মল্লিক, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হাসান আহমদ পাটোয়ারী রিপন প্রমুখ।