ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর মধ্যে দুই ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৩০ গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। সোমবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার তুজারপুর ইউনিয়নের তুজারপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

হামলায় আহতরা ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন। সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ ও গ্রামপুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তুজারপুর গ্রামের ওহাব ভুঁইয়ার সঙ্গে ওমর মাতুব্বর, রাজুমীরের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।

শনিবার রাতে তুজারপুর বাজারের ওয়াজ মাহফিল চলাকালে ওহাব ভুঁইয়া দলের ইমন ভূঁইয়ার সঙ্গে ওমর মাতুব্বরের দলের মানিক ও তামিমের তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারামারি হয়। এ ঘটনার জের ধরে সোমবার বেলা ১১টার দিকে উভয় দলের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ঢাল, কাতরা, টেঁটা, ইটপাটকেল নিয়ে দুই ঘণ্টাব্যাপী ধাওয়া পালটা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় হামলাকারীরা প্রায় ২৫টি বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় দুপক্ষের ৩০ জন আহত হয়েছেন।

এ ব্যাপারে ওহাব ভূঁইয়া বলেন, ওমর মাতুব্বর গ্রুপের কয়েকজন লোক ওয়েলকাম দেয়। শনিবার রাতে তুজারপুর গ্রামে ওয়েলকামকারীদের ধরতে গ্রামে পুলিশ আসে। তখন তারা ধারণা করে আমার দলের ইমন নামের একটা ছেলে পুলিশকে তাদের বাড়ি ঘর দেখিয়ে দিয়েছে। এ ঘটনা নিয়ে ওমর মাতুব্বর দলের তামিম, জাহিদুল ও মানিক মোল্লা ইমনকে মারধর করে। এ ঘটনা নিয়েই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। 

ওমর মোল্লা বলেন, ওহাব ভূঁইয়া দলের লোকজন আমার দলের লোকজনের প্রায় ২০ থেকে ২৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। তারা আমাদের ওপর আতঙ্কিত হামলা চালিয়েছে। আমাদের দলের ১৫-২০ লোকজন আহত হয়েছেন। 

এ ব্যাপারে ভাঙ্গা থানার ওসি মো. মোকছেদুর রহমান জানান, সংবাদ পেয়ে আমিসহ পুলিশের কয়েকটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছি। এ ব্যাপারে এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষ অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।