পাহাড়ে মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে: পার্বত্য উপদেষ্টা

রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪০ পিএম

অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পাহাড়ে মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। এ লক্ষ্যে কাজ করছি। যতদিন দায়িত্বে আছি, পার্বত্য অঞ্চলে মানসম্মত শিক্ষার ওপর জোর দিতে চাই। এজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
রোববার সকালে রাঙামাটি শহরের রাঙাপানি হ্যাচারি এলাকায় ‘রাঙামাটি জেলা পরিষদ আবাসিক কলেজ’ নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনকালে সুপ্রদীপ এ কথা বলেন।
এ সময় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, পরিষদের মুখ্য সচিব খোন্দকার মোহাম্মদ রিজাউল করিম, রাঙামাটি সদর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল এরশাদ, জেলা প্রশাসক মো. হাবিব উল্লাহ, পুলিশ সুপার ড. এসএম ফরহাদ হোসেন, জেলা পরিষদের সদস্য মো. হাবীব আজম, বরুণ বিকাশ দেওয়ান, নাইপ্রু মারমা মেরী, রাঙ্গাবী তঞ্চঙ্গ্যাসহ অন্য সদস্যরা, জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ, জায়াতে ইসলামীর জেলা আমির আবদুল আলীম, সামরিক বেসামরিক কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সুপ্রদীপ বলেন, পার্বত্য অঞ্চলে মানসম্মত শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে যেখানে যে ধরনের উন্নত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দরকার সেখানে তা করা হবে। পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে রাঙামাটি জেলা পরিষদ আবাসিক কলেজ নির্মাণ করা হচ্ছে। এ ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আরও অনেক করতে চাই। রাঙামাটিতে ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা দুটি ক্যাডেট কলেজের মতো উন্নত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের উদ্যোগ নিচ্ছি। এগুলোতে বাংলা ছাড়া সব বিষয় পড়ানো হবে ইংরেজিতে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার বলেন, জেলা পরিষদের ব্যবস্থাপনায় পরিচালিত মিনি চিড়িয়াখানার জায়গায় আবাসিক কলেজটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এ চিড়িয়াখানায় কিছু বন্যপ্রাণী রাখা হয়েছিল; কিন্তু দক্ষ জনবল ও খাদ্য অভাবে প্রাণীগুলো সংকটে পড়ে। তাই সেগুলো ইতোমধ্যে বন বিভাগকে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপর মিনি চিড়িয়াখানার জায়গায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি নির্মাণের পদক্ষেপ নেওয়া হয়।