মাধবপুরে এসএসসি ও এইচএসসিতে ৫৭৭ জন জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের এস এম ফয়সল মেধা বৃত্তি ও সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে মাধবপুর সৈয়দ সঈদ উদ্দিন ডিগ্রি কলেজ মাঠে তাদের এক মিলন মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

সায়হাম গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে বৃত্তি প্রদান ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়ের রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নজরুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান ও অধ্যাপক ড. মো. আল-আমীন। প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সায়হাম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মো. ফয়সল।

অন্যান্যদের মধ্যে অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সায়হাম গ্রুপের পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ এবিএম হুমায়ুন, সায়হাম কটন ও ডেনিম মিলস লি. এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার সৈয়দ ইশতিয়াক আহমেদ, সায়হাম নিট কম্পোজিট মিলস লি. ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ শাফকাত আহমেদ, দৈনিক সমকালের উপসম্পাদক মাহবুব আজিজ, হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আতিকুল হক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহিদ বিন কাসেম, অধ্যক্ষ মো. জাহির হোসেন, চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী, প্রধান শিক্ষক আসাদুজ্জামান, সুপার আমিনুল ইসলাম।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন- সায়হাম গ্রুপের এজিএম ক্যাপ্টেন (অব) লিয়াকত হাসান। উপজেলার ২০২৩ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমান পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৫৭৭ জন মেধাবী শিক্ষার্থীদের মেধাবৃত্তি ও সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সায়হাম গ্রুপের চেয়ারম্যান বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দ মো. ফয়সল বলেন, এলাকায় শিক্ষার মানোন্নয়নে তার পিতার আমল থেকেই পরিবারের সদস্যরা কাজ করছেন। তিনি উপজেলার ২৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বৃত্তি প্রদান ছাড়াও দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে এক লাখ টাকা করে দেওয়ার ঘোষণা দেন। এ তালিকা যাতে স্বচ্ছ হয় সেজন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের অনুরোধ করেন। গত সাড়ে ৬ বছর আগে আমার পরিবারের অর্থায়নে প্রতিষ্ঠিত সৈয়দ সঈদ উদ্দীন ডিগ্রি কলেজের নাম ছিনতাই করা হয়েছিল। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার বিপ্লবের পর এলাকাবাসী তা উদ্ধার করেছেন। যতদিন বাঁচব এলাকার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাব।