সকালে অধ্যক্ষ নিয়োগ, বিকালে বাতিল

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫১ পিএম

সদ্য সরকারিকরণ হয় নেত্রকোনার কেন্দুয়া ডিগ্রি কলেজ। কলেজটির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে মঙ্গলবার সকালে প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ শিক্ষক সরকারী অধ্যাপক শফিকুল আলমকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পরে একই দিন বিকালে ওই নিয়োগ আদেশ বাতিল করা হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (কলেজ-১) মুহাম্মদ সফিউল বশর স্বাক্ষরিত দুটি পত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে কী কারণে বাতিল করা হয়েছে তা বাতিল হওয়া আদেশে উল্লেখ করা হয়নি।
কলেজ-সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ সরকারি হওয়া কেন্দুয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জাহাঙ্গীর হোসেন তালুকদারের অবসরজনিত কারণে পদটি শূন্য হয়। কলেজটির নতুন অধ্যক্ষ পদায়ন না হওয়া পর্যন্ত স্বাভাবিক কার্যক্রম চলমান রাখার স্বার্থে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী কলেজটির তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সহকারী অধ্যাপক মো. শফিকুল আলমকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়।
মঙ্গলবার সকালে এক পত্রে এ নিয়োগ প্রদান করা হয়; কিন্তু পরে একই দিন বিকালে অন্য একটি পত্রের সরকারিকৃত কলেজ শিক্ষক ও কর্মচারী আত্তীকরণ বিধিমালা ২০১৮ এর আলোকে কলেজের আর্থিক ক্ষমতাসহ অধ্যক্ষের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব প্রদান সংক্রান্ত অফিস আদেশটি বাতিল করা হয়। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ সফিউল বশর স্বাক্ষরিত পত্রে তা বাতিল করা হয়।
সহকারী অধ্যাপক মো. শফিকুল আলম বলেন, মঙ্গলবার সকালে এক পত্রের মাধ্যমে আমাকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নিয়োগ করা হয়। পরে একই দিন বিকালে আদেশটি বাতিল করা হয়। তবে কী কারণে নিয়োগ দিয়ে আবার বাতিল করা হলো তা আমার জানা নেই।
এদিকে সকালের নিয়োগ আদেশ বিকালে বাতিলের ঘটনায় এলাকায় বেশ আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়েছে।
শিক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কলেজটির জ্যেষ্ঠ শিক্ষক শফিকুল আলমই নিয়ম অনুযায়ী অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ পাওয়ার যোগ্য; কিন্তু সকালে তাকে নিয়োগ দিয়ে আবার বিকালে তা বাতিল করে একজন শিক্ষককে সমালোচিত করা ঠিক হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ সফিউল বশরের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।