Logo
Logo
×

সারাদেশ

মায়ের বাধায় আটকে গেল শহিদ আরাফাতের মরদেহ উত্তোলন

Icon

টেকেরহাট (মাদারীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩১ পিএম

মায়ের বাধায় আটকে গেল শহিদ আরাফাতের মরদেহ উত্তোলন

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মায়ের বাধায় কবর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ আরাফাতের মরদেহ উত্তোলন বন্ধ হয়েছে। আদালতের নির্দেশে ছয় মাস পর বুধবার মরদেহ উত্তোলনে যান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ কর্মকর্তারা।

বুধবার দুপুরে উপজেলার মহারাজপুর ইউনিয়নের ছোট বনগ্রামে পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করতে গেলে শহিদ আরাফাতের মায়ের কাকুতি-মিনতির কারণে মরদেহ উত্তোলন না করে কবর জিয়ারত করে ফিরে যায় প্রশাসন। এ ঘটনায় শহিদের পরিবার ও স্থানীয়দের প্রশংসায় ভাসছেন কর্তব্যরত প্রশাসনের কর্মকর্তারা। 

গোপালগঞ্জ জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রবির বিশ্বাসের নেতৃত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন- ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (পিবিআই) কুদরত-ই খুদা, মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল, ইন্সপেক্টর (পিবিআই) গোবিন্দ লাল, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রবির বিশ্বাস জানান, আদালতের নির্দেশে সঙ্গীয় পিবিআই ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার, মুকসুদপুর থানার অফিসার ইনচার্জ এবং মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে নিয়ে শহিদ আরাফাতের মরদেহ উত্তোলন করতে গেলে তার মায়ের আর্তনাদে আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ উত্তোলন বন্ধ করা হয়। পরে শহিদ আরাফাতের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।

উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহিদ হন তিনি। আরাফাতের বাবা স্বপন মুন্সি পেশায় দিনমজুর। মা মায়া বেগম কাজ করেন একটি পোশাক কারখানায়। তারা ঢাকার আশুলিয়ায় থাকেন। অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আরাফাত সেখানেই বার্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজে পড়ত।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম