দুই বিভাগের পেট্রলপাম্প মালিকদের ধর্মঘট প্রত্যাহার

বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:০৯ পিএম
-67a38d31d5850.jpg)
বগুড়া জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা সফল হওয়ায় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সব পেট্রলপাম্প মালিকদের অনির্দিষ্টকালের তেল উত্তোলন, বিপণন ও পরিবহণ ধর্মঘট প্রত্যাহার হয়েছে।
দুই বিভাগের ১৬ জেলায় চার শতাধিক পাম্পে বুধবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া কর্মসূচি বিকাল ৪টায় শেষ হয়েছে। এতে জনগণের মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। প্রায় ৮ ঘণ্টা পাম্প বন্ধ থাকায় জ্বালানি না পেয়ে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। জনগণ বিভিন্ন পাম্পের সামনে ভিড় করেন।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটার্স, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল জানান, সড়ক ও জনপথ বিভাগ কোনো আলোচনা ছাড়াই গত মঙ্গলবার ও বুধবার বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার হামিম ফিলিং স্টেশন, আজিজা ফিলিং স্টেশন এবং আশা ফিলিং স্টেশনের সামনে প্রাচীর দিয়ে যানবাহন প্রবেশে বাধা দেয়। এছাড়া পাম্পের জমি উচ্ছেদ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে সরকার নির্ধারিত সব নিয়ম মেনে ও বৈধ লাইসেন্স অনুসরণ করে ব্যবসা করে আসছেন। নিয়মিত রাজস্ব প্রদান করে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছেন। অতীতে কখনো এমন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়নি। এতে জ্বালানি তেল পরিবেশকদের মাঝে উদ্বেগ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়। এছাড়া এ অভিযানে জ্বালানি খাতকে অস্থিতিশীল ও ব্যবসায়ী সমাজের মধ্যে ভীতি সৃষ্টি করে। সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার ষড়যন্ত্র করা হয়। এ কারণে বাধ্য হয়েই তারা উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের চার শতাধিক পাম্পে বুধবার সকাল ৮টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য জ্বালানি তেল উত্তোলন, বিপণন ও পরিবহণ ধর্মঘট আহবান করা হয়েছিল।
এ অচলাবস্থা নিরসনে বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা বুধবার দুপুরে তার কার্যালয়ে জরুরি সভা আহবান করেন। সেখানে বগুড়ার পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা, বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা অয়েল কোম্পানির এরিয়া ম্যানেজার, পেট্রলপাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জেলা প্রশাসন দুঃখ প্রকাশ করে উচ্ছেদ অভিযান আর চালানোর ঘোষণা দেয়। ফলে বুধবার বিকাল ৪টা থেকে দুই বিভাগের সব পাম্পে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।
বগুড়া জেলা প্রশাসক হোসনা আফরোজা জানান, সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার পাম্পগুলো যদি নিজস্ব জমিতে স্থাপন করা হয়ে থাকে, তাহলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ তাদের ক্ষতিপূরণ দিবে। এ ব্যাপারে কমিটি হয়েছে, মাপজোক হবে। আর যদি পাম্পগুলো সড়ক ও জনপথ বিভাগের জমিতে হয়ে থাকে তাহলে তারা নিজেরা সরে যাবে। এসব নিয়ে সমঝোতা হওয়ায় বুধবার বিকাল ৪টা থেকে দুই বিভাগের পাম্পগুলোতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে।
এদিকে পাম্পগুলোতে বুধবার সকাল ৮টা থেকে ধর্মঘট ডাকার ফলে জ্বালানি তেল বিক্রি, উত্তোলন ও পরিবহণ বন্ধ থাকে। এতে বিভিন্ন যানবাহন পাম্প এলেও তাদের তেল দেওয়া হয়নি। ফলে দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা অনেক যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকে। এতে জনগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।
বগুড়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান জানান, আমরা সঠিক সীমানা নির্ণয় করে অপসারণ করছি। যেগুলো জায়গা অপসারণ করা হচ্ছে সব সওজের জায়গা। দীর্ঘদিন দখলে ছিল এটা মুক্ত করা হচ্ছে।