অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ব্যাংক ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে মামলা
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
মতলব (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৭ এএম
![অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ব্যাংক ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে মামলা](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2025/02/04/MOTLOB-67a19bc7e15e1.jpg)
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি ছেংগারচর বাজার শাখা থেকে আত্মসাৎ হয়েছে ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। সে ঘটনায় এবার মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), যাতে আসামি করা হয়েছে ব্যাংকটির ক্যাশিয়ার দীপঙ্কর ঘোষকে।
দুদকের চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ে সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আজগর হোসেন সোমবার
বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলার বিবরণে বাদী উল্লেখ করেন, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি ছেংগারচর বাজার
শাখার ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ মিয়া টাকা আত্মসাতের ঘটনায় মতলব উত্তর থানায় অভিযোগ করেন।
ওই অভিযোগের রেকর্ডপত্র থানা থেকে পাঠানো হয় দুদক কার্যালয়ে। অভিযোগে তথ্যাদি যাচাই
শেষে মামলা করার অনুমোদন দেয় দুদকের প্রধান কার্যালয়।
মামলার বাদী আজগর হোসেন জানান, ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত ৭৫ লাখ ২০ হাজার
টাকা আত্মসাৎ করেছেনে ক্যাশিয়ার দীপঙ্কর।
এর আগে গেল ১ সেপ্টেম্বর ওই ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ মিয়া মতলব
উত্তর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে তিনি জানান, ছেংগারচর বাজার শাখার অফিসার
(ক্যাশ) হিসেবে কর্মরত ছিলেন দীপঙ্কর ঘোষ। গত বছরের ২৯ আগস্ট তিনি ব্যাংকে না এলে তার
সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তার বাবা অসুস্থ, তাই আসতে দেরি হবে।
কিছুদিন অতিবাহিত হলেও দীপঙ্কর আর ব্যাংকে আসেননি। তার সঙ্গে যোগাযোগ
করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে তার স্ত্রী আঁখি সাহাকে ফোন দিলে তিনি জানান,
তার স্বামী অফিসের উদ্দেশে ঢাকার বাসা থেকে বের হয়ে গেছেন। কিন্তু ওইদিন তিনি ব্যাংকে
উপস্থিত হননি। ফলে ব্যাংকের ভল্ট খোলা সম্ভব হয়নি।
পরবর্তী সময়ে তার কার্যকলাপ সন্দেহজনক হলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি
জানিয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক ইউসুফ মিয়া। তিনি বলেন, ব্যাংকের
স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা ও ভল্টে থাকা নগদ টাকা পরিমাণ যথাযথ আছে কিনা তা যাচাইয়ের
জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে থানায় জিডি করা হয়।
ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও থানা পুলিশের
উপস্থিতিতে ভল্টের গ্রিল কেটে এবং চাঁদপুরের প্রধান শাখায় রক্ষিত চাবি দিয়ে ভল্ট খোলা
হয়। পরে ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা কম পাওয়া যায়।