নেশার টাকা জোগাড় করতেই অটোরিকশা চালককে হত্যা

ফরিদপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৪৬ পিএম
-67a0f2f3cce02.jpg)
ফরিদপুরে অটোরিকশা চালক ফরহাদ প্রামাণিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত মো. সুমন শেখ (২১) ও রেজাউল করিম মিন্টু (৪২) নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নেশার টাকা জোগাড় করতে গিয়ে চালককে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করা হয়। ঘটনার তিন দিনের মাথায় দুজনকে গ্রেফতার করতে সমর্থ হয় পুলিশ।
সোমবার দুপুরে ফরিদপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের হলরুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল জলিল।
তিনি বলেন, অটোরিকশা চালক ফরহাদ প্রামাণিক হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে গ্রেফতারকৃত সুমন শেখ। হত্যার দিন সুমনসহ তিনজন ফরহাদের অটোরিকশাটি ভাড়া নিয়ে বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে থাকে। এক পর্যায়ে তারা ফরহাদকে দুর্গাপুর এলাকায় নিয়ে হত্যা করে অটোরিকশা ছিনতাই করে। মূলত সুমন শেখ নেশার টাকা জোগাড় করতেই ফরহাদকে হত্যা করে। পরে ছিনতাইকৃত অটোরিকশা ১১ হাজার টাকায় বিক্রি করে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত দুজন পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, রাজবাড়ি সদরের পাঁচুরিয়া গ্রামের ছাত্তার প্রামাণিকের ছেলে ফরহাদ প্রামাণিক গত ৩০ জানুয়ারি বিকালে বাড়ি থেকে অটোরিকশা নিয়ে বের হন। রাতে বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন ফোন দিলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর রাতভর তাকে খুঁজতে থাকে ফরহাদের পরিবার ও স্বজনরা।
মো. আব্দুল জলিল বলেন, গত ৩১ জানুয়ারি দুপুরে সদর উপজেলার ঈশানগোপালপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর কাচারীরটেক এলাকার একটি পুকুরপাড়ে স্থানীয়রা একটি মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। এরপর পরিবারের সদস্যরা ফরহাদের মরদেহ শনাক্ত করেন। এ ঘটনায় ১ ফেব্রুয়ারি ফরহাদের বাবা ছাত্তার প্রামাণিক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের নামে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের মূল রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় রোববার রাতে রাজবাড়ির গোয়ালন্দঘাট এলাকা থেকে প্রথমে সুমনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী ফরিদপুর সদর উপজেলার ঈশানগোপালপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে মিন্টু নামক এক ভাঙারি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশাসহ ৪টি ব্যাটারি উদ্ধার এবং মিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়।