মাছ ধরা নিয়ে আ.লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে ২০ বাড়ি ভাঙচুর, আহত ৮

ফরিদপুর ব্যুরো
প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৩২ পিএম
-67a0efaae92e3.jpg)
এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পুকুরের মাছ ধরা নিয়ে ফরিদপুরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয়পক্ষের অন্তত আটজন আহত, ২০টি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট হয়।
আহতদের মধ্যে তিনজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ফরিদপুর সদরের ফুরসা গ্রামে এ সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে একপক্ষের নেতৃত্ব দেন ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি হাসেম খান। অপরপক্ষের নেতৃত্ব দেন একই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আক্কাস মাতুব্বর।
স্থানীয়রা জানান, রোববার পুকুরে মাছ ধরা নিয়ে দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর জেরে সোমবার হাসেম খানের সমর্থকরা গট্টি ইউনিয়নের ভাবুকদিয়া গ্রাম থেকে শতাধিক লোক নিয়ে আক্কাস মাতুব্বর ও তার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর চালায়। তারা ওইসব বাড়ি থেকে গরু-ছাগল লুট করে নিয়ে গেছে। পরে আক্কাস মাতুব্বরের সমর্থকরা এক হয়ে প্রতিপক্ষ হাসেম খানের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। সেনাবাহিনী ও র্যাব সদস্যরা এবং ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আওয়ামী লীগ নেতা আক্কাস মাতুব্বর বলেন, রোববার রাতে পুলিশের মধ্যস্থতায় আমরা সংঘর্ষে জড়াব না বলে কথা দিয়েছিলাম। আমি তা মেনে নিলেও হাসেম খান মানেননি। তার সমর্থকরা সোমবার আমার বাড়ি এবং আমার সমর্থকদের বাড়িতে হামলা ভাঙচুর করে। শুধু তাই নয় ১০ লাখ টাকার গরু-ছাগল লুট করে নিয়ে গেছে তারা।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে হাসেম খান বলেন, আক্কাসের সমর্থকরা আমার বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করেছে।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদউজ্জামান বলেন, এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।