প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে ৪০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
কটিয়াদী (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৫৭ পিএম
![প্রধান শিক্ষক ছাড়াই চলছে ৪০ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2025/02/03/pic-(7)-67a0bd26dbe4e.jpg)
কিশোরগঞ্জের কটিয়াদী উপজেলার ৪০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নেই। সহকারি শিক্ষকগণ ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এদিকে ৪১ টি সহকারি শিক্ষকের পদও শূন্য রয়েছে। ফলে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস জানায়, উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও ৯টি ইউনিয়নে ১১৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যেখানে ৪০ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক ও ৪১ টিতে সহকারি শিক্ষকের পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য। সিনিয়র সহকারি শিক্ষকদের দ্বায়িত্বে চলছে স্কুল কার্যক্রম।
শিক্ষকরা বলছেন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান হিসেবে সাধারণ শিক্ষকগণ দ্বায়িত্ব পালন করায় শিক্ষক সংকট দেখা দিয়েছে। তাছাড়া মোটামুটি সমমানের শিক্ষক হওয়ায় অনেকে আদেশ পালনে অনীহা প্রকাশ করেন। ফলে বিদ্যালয়ে শিক্ষা থেকে শুরু করে সব জায়গায় সমস্যা দেখা দিয়েছে।
বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর অভিভাবক রফিকুল ইসলাম ও হুমায়ূন কবির জানান, বিদ্যালয়ে যিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন, তিনি মূলত ওই বিদ্যালয়েরই একজন সহকারি শিক্ষক। বেশিরভাগ সময় তিনি দাপ্তরিক কাজে ব্যস্ত থাকেন। এ কারণে বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত থাকেন না। এ ছাড়া বিদ্যালয়ে অন্যান্য সহকারি শিক্ষকও তার নির্দেশনা সঠিকভাবে মানছেন না। ফলে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় সমস্যা হচ্ছে। তাই দ্রুত এসব বিদ্যালয়গুলোতে প্রধান শিক্ষক পদায়ন করে শিক্ষার গুণগত মান ফিরিয়ে আনতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান তারা।
মসূয়া ইউনিয়নের শিমুলকান্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তারেক হোসেন জানান, প্রধান শিক্ষক অবসরের যাওয়ায় বিদ্যালয়ে চারজন শিক্ষকের মধ্যে আমার কাছে বাড়তি দায়িত্ব চেপে বসেছে। দায়িত্ব পালনকালে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে আমরা তেমন কোন সুবিধা পাই না। অফিসের কাজে দৌড়াদৌড়ি করে ক্লাস নিতে সমস্যা হয়। অত্র বিদ্যালয়ে শিক্ষকের পদ ৫ টি হলেও রয়েছে ৪জন। এরমধ্যে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য।
চরপুক্ষিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন জানান, ২০১৯ সালের অক্টোবর মাসে চলতি দায়িত্ব হিসেবে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পেয়ে ছিলাম কিন্তু আমরা বেতন পাই ১১ তম গ্রেড। চলতি দায়িত্ব হিসেবে শুধু পনের শত টাকা সম্মানি হিসেবে পাই।
কটিয়াদী উপজেলা শিক্ষা অফিসার খন্দকার আফজাল হোসেন জানান, ইতোমধ্যে ৪০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণ চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। পদোন্নতি অথবা সরাসরি নিয়োগের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের পদ পূরণ করা হবে।
শিক্ষকের শূন্য পদ নিয়ে বলেন, অধিদপ্তর শূন্যপদের তালিকা নিয়েছে। সরকার নিয়োগ দিলেই শূন্যপদ পূরণ হবে।