আদালত প্রাঙ্গণে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ায় যুবককে গণপিটুনি

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৩ পিএম

লক্ষ্মীপুরে ৪ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় আদালতে শুনানি শেষে আসামিদের প্রিজনভ্যানে উঠানোর সময় ‘জয় বাংলা স্লোগান’ নিয়ে হট্টগোল সৃষ্টি হয়।
এ সময় আদালত প্রাঙ্গণে জামিনে থাকা আসামিসহ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কয়েকজন জয় বাংলা স্লোগান দেন। এতে দুইজন গণপিটুনির শিকার হন। এর মধ্যে পরান চৌধুরী নামে একজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
এদিকে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান ও লিফলেট বিতরণের প্রতিবাদে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ মিছিল করেন বিএনপি-জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা।
রোববার দুপুরে লক্ষ্মীপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত প্রাঙ্গণে এসব ঘটনা ঘটে। বিক্ষোভ শেষে বক্তব্য রাখেন- জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আহমেদ ফেরদৌস মানিক ও জেলা জামায়াতের সহ-সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মহসিন কবির মুরাদ।
আটক পরান লক্ষ্মীপুর পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড বাঞ্ছানগর এলাকার মৃত সিরাজ চৌধুরীর ছেলে। সে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানা গেছে।
পুলিশ-আইনজীবীসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার লক্ষ্মীপুরে গত ৪ আগস্ট আফনান ও সাব্বিরসহ ৪ শিক্ষার্থী হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের শুনানি ছিল। এসব মামলায় শুনানি শেষে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ুন করির পাটওয়ারী, লক্ষ্মীপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ আহম্মদ পাটওয়ারী, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন আলমসহ গ্রেফতার হওয়া আসামিদের কারাগারে নেওয়ার জন্য প্রিজনভ্যানে উঠাচ্ছিলেন পুলিশ।
এ সময় আসামিরা জয় বাংলা স্লোগন দেওয়ায় আদালত প্রাঙ্গণে হট্টগোল দেখা দেয়। একই সময় জামিনে থাকা আসামিসহ আওয়ামী লীগ-যুবলীগের কয়েকজন স্লোগান শুরু করে। এতে পরানসহ দুইজনকে জনতা মারধর করেন। এর মধ্যে কৌশলে একজন পালিয়ে যান। পরে পরানকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদে বিএনপি ও জামায়াতপন্থি আইনজীবীরা বিক্ষোভ করেন।
বিক্ষোভ শেষে বক্তব্যকালে আইনজীবীরা বলেন, শেখ হাসিনার দোসররা এখনো বিভিন্নভাবে চক্রান্ত করছে। আদালত প্রাঙ্গণে জয়বাংলা স্লোগান দিয়ে লিফলেট বিতরণের ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করে দ্রুত গ্রেফতার করতে হবে। তা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মোন্নাফ বলেন, আওয়ামী লীগের লিফলেট বিতরণকালে পরান নামে একজনকে আটক করা হয়। তিনি এখন পুলিশ হেফাজতে আছেন। তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।