আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে
ভাঙ্গায় বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৬:৪৬ পিএম
![ভাঙ্গায় বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২০](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2025/02/02/naf-(8)-679f6921188fe.jpg)
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুগ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নারীসহ কমপক্ষে ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
রোববার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার ঘারুয়া ইউনিয়নের খারদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছেন। আহতরা ভাঙ্গা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘারুয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড বিএনপি সেক্রেটারি আনোয়ার হোসেন আনু মুন্সির সঙ্গে একই গ্রামের কৃষক দলের সাবেক সভাপতি করিম মোল্লার দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক বিরোধ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ঝামেলা চলে আসছিল।
রোববার সকালে শরিফাবাদ হাটে মিটিং করে বাড়ি ফেরার পথে খারদিয়া গ্রামে আনোয়ারের লোকজন করিম মোল্লার সমর্থকদের ওপর হামলা চালালে সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘণ্টাখানেক ধাওয়া পালটা ধাওয়া হয় এবং চারটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে উভয়পক্ষের ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
করিম মোল্লা বলেন, আগে থেকেই আনোয়ারের সঙ্গে আমাদের বিরোধ চলে আসছে। গত ২৫ জানুয়ারি মালিগ্রাম হাটে আমাদের কৃষক দলের মিটিং ছিল। সেখানে আমার লোকজনকে মিটিংয়ে যেতে বাধা দিয়েছে আনু মুন্সি। আমাদের দলের লোকজনকে হুমকি ধমকি দেওয়া হয়েছে।
আজ সকালে তারা বাজারে গিয়ে তারা মিটিং করেছে। ফেরার পথে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এতে আমাদের প্রায় ১০ জন লোক আহত হয়।
এদিকে আনোয়ার হোসেন আনু মুন্সি বলেন, করিম মোল্লা ও নিরু খলিফা পূর্ব থেকে স্থানীয় সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান নিক্সন চৌধুরীর সমর্থক। তারা আমাদের সঙ্গে অহেতুক প্রভাব বিস্তার করে প্রায়ই ঝগড়া করে। সকালে আমার দলের লোকজন শরিফাবাদ বাজার থেকে ফেরার পথে লোকজনের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনায় আমাদের ১০ থেকে ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
আহতরা হলেন- বিএনপির সভাপতি ফজলুল হক মুন্সি, ইদ্রিস মোল্লা, জিহাদ আলী শেখ, আসমা বেগম, আজিবর খাঁ, ছামাদ আলী, রবি ফরাজী, নান্নু মিয়া, রমজান খাঁ, শাহাবুদ্দিন মুন্সি ও কামাল ফকির।
নিরু খলিফা বলেন, আমি গতরাতে ঢাকা এয়ারপোর্টে যাচ্ছিলাম। পদ্মা সেতুতে উঠার আগে গ্রামে মারামারির সংবাদ পাই। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগের মতিয়ার রহমান, নয়ন খাঁ, চানমিয়া, বাদল মুন্সি সহযোগিতায় আনু মুন্সির নেতৃত্বে হামলা করে চারটি বাড়ি ভাঙচুর করে। হামলায় মহিলা সহ ১০ জন লোক আহত হয়েছে।
আহতরা হলো- ফয়সাল শেখ, কুদ্দুস কাজী, চিরুখলিফা, ওহাব মোল্লা, ফয়সাল, রানা শেখ ও ছায়মা বেগম।
ভাঙ্গা থানার ওসি মোহাম্মদ মোকছেদুর রহমান বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তদন্তপূর্বক ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।