যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
যুগান্তর প্রতিবেদন, আমতলী (বরগুনা)
প্রকাশ: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩:৫৯ পিএম
![যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ যুবদল নেতার বিরুদ্ধে](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2025/02/02/TALTOLI-679f41fc86410.jpg)
বগুড়ার তালতলীতে স্থানীয় যুবদল নেতার বিরুদ্ধে যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ, মাদক বিক্রিতে বাধা দেওয়ার জেরে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক শহীদ সিকদার, তার দুই ছেলে সোহেল সিকদার ও আরাফাত সিকদার এবং ভাতিজা বায়েজিদ সিকদার ওই যুবককে হত্যা করেছে।
শনিবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার কচুপাত্রা পুরাতন বাজার এলাকায় এ ঘটনা
ঘটে।
নিহত যুবকের নাম আরাফাত খাঁনকে (২২)। পেশায় তিনি মোটরসাইকেল চালক। হত্যার
ঘটনায় সাগর হাওলাদার নামে একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কলারং গ্রামের শহীদ সিকাদার, তার দুই ছেলে
ও ভাতিজা দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রি করে আসছে। গত বৃহস্পতিবার শহীদ সিকদারের দুই ছেলে
কচুপাত্রা বাজারে মাদক বিক্রি করতে যায়। এ সময় তাদের বাধা দেয় আরাফাত। এ নিয়ে তাদের
মধ্যে দ্বন্ধ হয়।
শনিবার রাতে প্রতিবেশী হাবিব উল্লাহকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে কচুপাত্রা
পুরাতন বাজারে যাচ্ছিল আরাফাত। রাস্তায় ১০ থেকে ১২ জনকে নিয়ে তাদের গতিরোধ করে শহীদ
সিকদার, তার দুই ছেলে ও ভাতিজা। তাদের মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম
করে তারা। বিষয়টি দেখে স্থানীয়রাও। কিন্তু সন্ত্রাসীদের ভয়ে কেউ এগিয়ে আসেনি। আরাফাতকে
কুপিয়ে তারা বীরদর্পে চলে যায় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা।
পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে
আসে। সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. রাসেদ মাহমুদ রোকনুজ্জামান আরাফাতকে মৃত ঘোষণা
করেন। অপর আহত হাবিব উল্লাহকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে পাঠায়।
রোববার সকালে পুলিশ নিহত আরাফাতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য
বরগুনা মর্গে পাঠায়। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা গেছে।
আহত হাবিব উল্লাহর বাবা ইলিয়াস হাওলাদার বলেন, ‘শহীদ সিকদার, তার দুই
ছেলে ও ভাতিজা মিলে আরাফাতকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আরাফাতের মোটরসাইকেলে আমার ছেলেও
ছিল। তাকেও কুপিয়ে গুরুতর জখম করেছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি দাবি করছি।’
নিহত আরাফাত খাঁনের বাবা আব্দুল জলিল খাঁন বলেন, ‘মাদক বিক্রিতে বাধা
দেওয়ায় আমার ছেলেকে হত্যা করা হলো। আমি এর বিচার চাই। ’
শারিকখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফারুক খাঁন বলেন, আরাফাত সম্পর্কে
আমার ভাইয়ের ছেলে। পূর্ব শত্রুতার জেরে শহীদ সিকদার ও তার ছেলেরা তাকে কুপিয়ে হত্যা
করেছে।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজালাল বলেন, ‘ঘটনার
সঙ্গে জড়িত সন্দেহে সাগর হাওলাদার নামের একজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি জড়িতদের আটকে অভিযান চালানো হচ্ছে।’