বগুড়ায় আ.লীগ নেতাকে মেরে পুলিশে দিল ছাত্রদল

বগুড়া ব্যুরো
প্রকাশ: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:৫২ পিএম

বগুড়া পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক দলিলুর রহমান পিন্টুকে (৬৯) আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শুক্রবার রাতে শহরের সাতমাথায় মুক্ত মঞ্চের সামনে থেকে তাকে আটক করার পর মারপিট করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার এসআই রাজিব হোসেন জানান, জেলা বিএনপি অফিসে আগুন দেওয়ার মামলায় তদন্তে পাওয়া আসামি হিসেবে তাকে শনিবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলা ছাড়া গ্রেফতার করায় তার পরিবারের সদস্যদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানান, দলিলুর রহমান পিন্টু বগুড়া শহরের জয়পুরপাড়ার মৃত নবাব আলী আহমেদের ছেলে। তিনি বগুড়া পৌরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। পিন্টু দীর্ঘদিন শহরের সাতমাথায় আড্ডা দিয়ে থাকেন। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অসংখ্য নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হলেও পিন্টুর বিরুদ্ধে কোনো মামলা ছিল না। প্রতিদিনের মতো তিনি শুক্রবার রাত ১১টার দিকে চা পানের জন্য শহরের সাতমাথায় মুক্তমঞ্চের কাছে ছিলেন। এ সময় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তাকে আটক করে। এরপর তাকে মারপিট করে সদর থানা পুলিশে সোপর্দ করা হয়।
পুলিশ ও মামলা সূত্র জানা যায়, গত বছরের ১৬ জুলাই সন্ধ্যা পৌণে ৭টার দিকে শহরের নবাববাড়ি সড়কে জেলা বিএনপি অফিসে হামলা চালানো হয়। হামলাকারীরা তালা ভেঙে অফিসে ঢুকে টেলিভিশন ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে তারা ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। আসবাবপত্র বাহিরে এনে আগুন দেওয়া হয়। এ ব্যাপারে জেলা মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রহিমান খাতুন মেরী ১৫ আগস্ট সদর থানায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক এমপি মজিবর রহমান মজনু, সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি রাগেবুল আহসান রিপুসহ ৮২ জনের নাম উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের ২৮২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা দলিলুর রহমান পিন্টুর আত্মীয়-স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীরা জানান, বিএনপি অফিসে হামলা মামলায় তার নাম ছিল না। ছাত্রদল নেতাকর্মীরা শুক্রবার রাতে তাকে শহরের সাতমাথা থেকে আটক করেন। তাকে মারপিটের পর সদর থানায় পুলিশে দেওয়া হয়। পুলিশ তাকে বিএনপি অফিসে হামলা মামলার তদন্তে পাওয়া আসামি হিসেবে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।