বরগুনার তালতলীতে জোরপূর্বক জমি দখলের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন তিন সাংবাদিক। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে সাংবাদিকের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল। নিয়ে গেছে ক্যামেরা ও নগদ টাকা। সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থাকলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। 

শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার আঙ্গারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত সাংবাদিকরা হলেন- ইউসুফ আলী, আবুল হাসান ও মল্লিক জামাল।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার সকালে আঙ্গারপাড়ার হাসেম মুন্সির পরিবারের জমি ও বাড়িঘর দখল করতে যায় ভূমিদস্যু আ. সত্তারসহ তার বাহিনী। খবর পেয়ে পুলিশ ও সাংবাদিকেরা ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় জমিতে তৈরিকৃত ঘরের ভেতরের ভিডিও করতে গেলে সাংবাদিক ইউসুফ আলীর ওপর তেড়ে আসে আমির হোসেনসহ ২০ থেকে ২৫ জন। 

হাত থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে তার ওপর অতর্কিত হামলা চালায় তারা। এতে ওই সাংবাদিক গুরুতর আহত হন। ভাঙচুর করা হয় তার মোটরসাইকেল। ছিনিয়ে নেয় সঙ্গে থাকা ৫ হাজার টাকা ও একটি ডিএসএলআর ক্যামেরা। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই সাংবাদিককে উদ্ধার করে তালতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। 

এদিকে ইউসুফ আলীকে মারধরের পর সেখানে ভিডিও করতে যান আবুল হাসান ও মল্লিক জামাল। তাদেরও মারধর করে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেওয়া হয়। 

সাংবাদিক আবুল হাসান ও মল্লিক জামাল বলেন, জমি দখলের খবরে পুলিশের সঙ্গে ঘটনাস্থালে যায়।  গিয়ে জমি দখলের ভিডিও করলে পুলিশের উপস্থিতিতে সন্ত্রাসীরা আমাদের ওপরে হামলা করেন। মারধরের একপযার্য় সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। পুলিশের সামনে এভাবে আমাদের ওপর হামলা হলে দেশের আইনশৃঙ্খলার অবস্থা কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়? আমরা এই হামলার বিচার চাই।’

তালতলী প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. খাইরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশের সামনে সাংবাদিকের ওপরে হামলার ঘটনা খুব দুঃখজনক। দ্রুত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাচ্ছি।’

ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশের এসআই সুশান্ত বিশ্বাস বলেন, জমিজমা বিষয়ে ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে দেখি দুপক্ষের প্রায় দুই শতাধিক লোক। একটি উত্তপ্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এ সময় সাংবাদিকরা ভিডিও করলে তাদের ওপরে হামলা করা হয়।

তালতলী থানার ওসি মো. শাহজালাল বলেন, ‘হামলার সময় পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটু দূরে ছিল। সাংবাদিকের গাড়ি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’