রৌমারীতে আ.লীগের নামে ওএমএসের চাল তুলেন বিএনপি নেতারা
রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৪ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
কুড়িগ্রামের রৌমারীতে সরকারি ওএমএস চাল বিতরণে ব্যাপক অনিয়ম দেখা গেছে। আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে চাল তুলে অন্যত্র বিক্রি করে পকেট ভারি করছেন বিএনপি নেতারা ও সরকারি ৩০ টাকা কেজি দামের চাল প্রকৃত ভোক্তা না পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
খাদ্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সরকারের ওএমএস কার্যক্রম শুরু হয় ৬ জন ডিলারের মাধ্যমে। একজন ডিলার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ২ টন চাল ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করবেন।
সিডিউল অনুযায়ী, ২টি বিক্রয় কেন্দ্র প্রতিদিন ভোক্তার কাছে ৫ কেজি হারে চাল বিক্রি করবেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার ৬ ডিলারের মধ্যে ছয়জনই আওয়ামী লীগের নেতা। ওএমএস কার্যক্রম উদ্বোধনের দিন আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ঠিকাদার ডিওর চাল তুলতে গুদামে গেলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
বাকি ৫ জন ডিলারও গ্রেফতারের ভয়ে খাদ্যগুদামে যান না। এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিএনপির একাধিক নেতা ডিলারদের সঙ্গে যোগসাজোশ করে খাদ্যগুদামে আওয়ামী লীগ নেতার নামে ডিও জমা দিয়ে চাল তুলতে থাকেন।
অপরদিকে ওএমএস চাল সরকারি বিধি মোতাবেক বিক্রি করার কথা থাকলেও ভোক্তার কাছে তা বিক্রি না করে গোপনে মিলারদের কাছে ৪২ টাকায় বিক্রি করছে। মিলার সেই চাল পুনরায় খাদ্যগুদামে ৪৭ টাকা কেজি দরে সরকারের কাছে বিক্রি করছে।
স্থানীয় কয়েকজন ভোক্তা বৃহষ্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ওএমএস চাল নিতে গিয়ে দোকান বন্ধ পাওয়ায় উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিসের সামনে জড়ো হন।
ভোক্তারা আমাদের প্রতিনিধিকে জানান, আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে বিএনপি নেতারা চাল তুলে অন্য জায়গায় বেশি দামে বিক্রি করে, এদিকে আমরা ওএমএসের চাল কিনতে পাই না।
রৌমারী উপজেলা বিএনপির সদ্য বিলুপ্ত কমিটির নেতা রাজু আহমেদ বলেন, যারা বিএনপির নাম ভাঙিয়ে এসব অপকর্ম করছে, তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ওএমএস কার্যক্রমের তদারককারী একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, ওএমএসের বিষয়ে আমরা কিছু জানি না।
রৌমারী উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আবু হাসনাত মিজানুর রহমান বলেন, এ ঘটনা জেনেছি। এর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।