রংপুরে দুই ঘণ্টার ব্যবধানে ৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। এতে আহত হয়েছে অন্তত ৩০ জন। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টায় রংপুর-কুড়িগ্রাম ও রংপুর-ঢাকা মহাসড়কে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। 

ঘন কুয়াশার কারণে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। 

নিহতরা হলেন- রমজান আলী (২৯), মোহাম্মদ শাহিন আলম সোহাগ (২৭) এবং আসলাম খান (৪৫)। অপর দুজনের পরিচয় জানা যায়নি। 

রংপুর মহানগর পুলিশের এডিসি আশিক মাহমুদ জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুড়িগ্রামগামী পাভেল এক্সপ্রেস রংপুরগামী একটি ট্রাককে ধাক্কা দিলে সেটি সামনে থাকা একটি মাহিন্দ্রাকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই রমজান, শাহিন ও অজ্ঞাতনামা একজন নিহত হয় এবং মিলন বর্মন নামের একজন আহত হন।  

অন্যদিকে হাইওয়ে পুলিশের রংপুর জোনের এসপি মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম জানান, সকাল পৌনে ৮টার দিকে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের পীরগঞ্জ বড়দরগাহ এলাকায় সাতক্ষীরা থেকে ছেড়ে আসা একটি বাসযাত্রী নামিয়ে দিচ্ছিল। এ সময় ঘন কুয়াশার কারণে রংপুর এক্সপ্রেস নামের একটি বাস পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে দুটি বাসই দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই আসলামের মৃত্যু হয় এবং আহত হয় আরও ২০ যাত্রী। এদের মধ্যে ৬ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারমধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।  

এদিকে রংপুর-বদরগঞ্জ সড়কের নব্দিগঞ্জে একটি বাসের ধাক্কায় এক পথচারীর মৃত্যু হয়েছে।  নিহতের নাম জানা যায়নি। 

এছাড়াও নগরীর ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট ও তারাগঞ্জের কামারপুকুর এলাকায় পৃথক দুর্ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।

এসপি মোহাম্মদ তারিকুল ইসলাম জানান, একদিকে ঘন কুয়াশা অন্যদিকে চালকদের বিশ্রামহীনতা। এছাড়া আইন না মেনে মহাসড়কে রিকশা, অটো, মাহিন্দ্রা ও মোটরসাইকেল চলাচলে বেপরোয়া গতির কারণেই এসব দুর্ঘটনা ঘটছে।