থানা ঘেরাও করার পর ছাড়া পেলেন কৃষক দল নেতা
রাজশাহী ব্যুরো
প্রকাশ: ৩০ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৩ পিএম
রাজশাহীর পবার যুবদল নেতা সালাহউদ্দিন মিন্টুর বাড়িতে গুলিবর্ষণ এবং গুলিতে তার বাবা মো. আলাউদ্দিনের মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় এক কৃষক দল নেতার সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এজন্য ওই কৃষক দল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছিল।
খবর পেয়ে কৃষক দল ও ছাত্রদলের কিছু নেতাকর্মী রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম থানা ঘেরাও করেন। কয়েকজন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) কক্ষে গিয়ে হট্টগোল শুরু করেন। তারা ওই কৃষক দল নেতাকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য চাপ দিতে থাকেন। পরে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।
ওই কৃষক দল নেতার নাম আশরাফুল ইসলাম। তিনি রাজশাহী মহানগর কৃষক দলের সদস্য সচিব। বুধবার সন্ধ্যায় শাহমখদুম থানা-পুলিশ আশরাফুলকে আটক করে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে রাত ৮টার দিকে সমর্থকরা থানা ঘেরাও করেন। ছুটে যান রাজশাহী মহানগর কৃষক দলের আহবায়ক শরিফুজ্জামান শামীমও। পরে রাতেই কৃষক দল নেতাকে পুলিশ ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানগর কৃষক দলের সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম বলেন, থানায় আমাকে সন্দেহমূলকভাবে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। পুলিশ আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল। অথচ আমি কিছুই জানি না। যেহেতু আমি মহানগরের সেক্রেটারি, তাই কর্মী-সমর্থকেরা থানায় গিয়েছিল। আমি সবাইকে বলে দিয়েছিলাম, কেউ পুলিশের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন না। কেউ খারাপ ব্যবহার করেননি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আমাকে ছেড়ে দিয়েছে।
গত ১৪ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে রাজশাহীর শাহমখদুম থানার ভুগরইল মহল্লায় স্থানীয় যুবদল নেতা সালাহউদ্দিন মিন্টুর বাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়। এ সময় দরজা ভেদ করে ঢুকে যাওয়া একটি গুলিতে আহত হন তার বাবা মো. আলাউদ্দিন। ১৫ জানুয়ারি তিনি হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করেছে।
মিন্টুর বাড়িতে গুলিবর্ষণের আগে দুপক্ষ একটি বিরোধ মীমাংসায় এয়ারপোর্ট থানায় বসেছিল। একটি পক্ষের হয়ে ছিলেন মিন্টু। ওই মীমাংসা বৈঠক থেকে বাড়ি যাওয়ার পর তার বাড়িতে গুলিবর্ষণ করা হয়। যারা গুলিবর্ষণ করেন তারাও ওই মীমাংসা বৈঠকে ছিলেন।
পুলিশ তথ্য পেয়েছে, ওই রাতে মিন্টুর বাড়িতে যারা গুলি করেছিল তাদের দুই-একজনের সঙ্গে মোবাইলে কথা হয়েছে কৃষক দল নেতা আশরাফুলের। এ সংক্রান্ত কললিস্টও পাওয়া গেছে। তাই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছিল।
শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমা মোস্তারিন বলেন, আমরা কললিস্ট দেখে আশরাফুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনেছিলাম। তিনি বলেছেন যে, তিনি নেতা মানুষ। বিভিন্ন এলাকার লোকজনের সঙ্গেই তার কথা হয়। তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তর তদন্ত চলছে।