কুয়াকাটায় বাস ধর্মঘটে আটকা পর্যটকরা, বাতিল অগ্রিম বুকিং
যুগান্তর প্রতিবেদন, কুয়াকাটা (পটুয়াখালী)
প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৩৩ পিএম
পটুয়াখালীতে অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘটে পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় আটকা পড়েছেন পর্যটকরা। এতে আাবাসিক হোটেলগুলোতে অবস্থানরত পর্যটকদের সঙ্গে কথা বলে তাদের ভোগান্তির কথা জানা গেছে।
কুয়াকাটা হোটেল-মোটেল ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোতালেব শরীফ এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মোতালেব শরীফ বলেন, বাস ধর্মঘটের প্রভাবে হোটেলের অগ্রিম বুকিং করা রুম বাতিল করেছে দেশের নানান প্রান্ত থেকে আসা শত শত পর্যটক। এতে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন হোটেল-মোটেল ও রিসোর্টের ব্যবসায়ীরা।
তথ্যমতে, পটুয়াখালী-বরিশাল-ঢাকা রুটের বাস মালিক সমিতির সিদ্ধান্তে বুধবার সকাল থেকে অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লাসহ সব রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
পটুয়াখালী বাস ও মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসির খন্দকার বলেন, বরিশালে বাস ভাঙচুরের প্রতিবাদে এ ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ইব্রাহীম ওয়াহিদ বলেন, যাতায়াতের পথে বাধা সৃষ্টি হলে মানুষজন ঘর থেকে বের হয় না। বাস ধর্মঘটের কারণে কুয়াকাটার ৪০ শতাংশ অগ্রিম বুকিং ফোনে বাতিল করেছেন পর্যটকরা। যাদের ব্যক্তিগত গাড়ি আছে তারাই শুধুমাত্র এ সময় কুয়াকাটায় আসতে পারবেন। দ্রুত বাস ধর্মঘট উঠিয়ে নেওয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।
কুয়াকাটা বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে থাকা জনৈক পর্যটক দম্পতি জানালেন, বুধবার সকালে খুলনা থেকে কুয়াকাটায় এসেছিলেন। ফেরার চেষ্টা করেও বাসস্ট্যান্ডে এসে বাস ছাড়ার অপেক্ষায় বসে আছেন, কিন্তু কোনো বাস কোথাও ছেড়ে যায়নি। কাউন্টারে যারা রয়েছেন তারাও বলতে পারছেন না কখন বাস ছাড়বে।
পটুয়াখালী বাস মিনিবাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক নাসির খন্দকার বলেন, বুধবার বিভাগীয় পর্যায়ের বাস মালিক সমিতির সঙ্গে প্রশাসনের বৈঠক হয়েছে; কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। বিভাগীয় পর্যায়ে নির্দেশনা পেলেই আমরা বাস চলাচল শুরু করব।