Logo
Logo
×

সারাদেশ

গণপিটুনি দিয়ে শ্রমিককে হত্যা, ২৪ দিনেও গ্রেফতার হয়নি আসামিরা

Icon

রায়পুর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:৪৫ পিএম

গণপিটুনি দিয়ে শ্রমিককে হত্যা, ২৪ দিনেও গ্রেফতার হয়নি আসামিরা

প্রতীকী ছবি

লক্ষ্মীপুরের রায়পুরে অটোরিকশার ব্যাটারি চুরির অভিযোগ তুলে আবুল কালাম (৪০) নামে এক ইটভাটা শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যার ২৪ দিনেও গ্রেফতার হয়নি কোনো আসামি।

এ ঘটনার পর থেকে নিহতের পরিবারের মাঝে উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। আসামিদের বাঁচাতে গ্রামের একটি প্রভাবশালী মামলা তুলে নিতে প্রতিনিয়ত চাপ সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেন নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী রেহানা বেগম।

উল্লেখ্য, ৬ জানুয়ারি সকালে উপজেলার বামনী ইউপির মধ্য কাঞ্চনপুর গ্রামের নির্জন সুপারি বাগানে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ইটভাটা শ্রমিক আবুল কালাম ওই গ্রামের ছানাউলা পাটোয়ারীর ছেলে। ঘটনার দিন রাতে নিহতের স্ত্রী রেহানা বেগম বাদী হয়ে ওই গ্রামের কামালসহ ৯ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৬ জনকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

আবুল কালাম পরিবার নিয়ে চরআবাবিল ইউপি হায়দরগঞ্জ বাজারে ভাড়া বাসায় স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস করতেন।

নিহতের স্ত্রী রেহানার অভিযোগ, গত ৫ জানুয়ারি রাত ৩টায় হায়দারগঞ্জ বাজারের পাশে একটি বাড়ির ভাড়া বাসা থেকে তার স্বামীকে তুলে নিয়ে যায় কাঞ্চনপুর গ্রামের কয়েকজন। এরপর সকালে স্বামীর খোঁজ করতে কাঞ্চনপুরে গিয়ে তাকে একটি বাগানে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়।

তিনি বলেন, জিসান নামে এক ব্যক্তি দলবল নিয়ে তার স্বামী আবুল কালামকে একটি মাইক্রোবাসে জোর করে তুলে নিয়ে যান। এ সময় তার পরিবারের লোকজনকে ভয়ভীতিও দেখানো হয়। তা বলে, আবুল কালাম সিএনজি ব্যাটারি চুরি করেছে- এ কারণেই তাকে ধরে নিয়ে মারছে। সকালে কাঞ্চনপুরে গিয়ে দেখেন সুপারি বাগানের মধ্যে স্থানীয় জিসানের নেতৃত্বে লোকজন আবুল কালামকে হাত-পা বেঁধে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে আমার স্বামী কাতর কণ্ঠে পানি চাইল, কিন্তু কেউ দিল না। আমি তার কাছে এগিয়ে গেলে তাকে হাসপাতালে নিতে বলে। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই মারা যান আমার স্বামী। 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রায়পুর থানার এসআই মো. হানিফ বলেন, ব্যাটারি চুরির অপবাদ দিয়ে আবুল কালামকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী বাদি হয়ে কামালসহ ৯জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেছেন। আসামিরা পলাতক থাকায় এবং নিহতের পরিবার বা গ্রামবাসী সহযোগিতার না পাওয়ায় গ্রেফতার করতে দেরি হচ্ছে। স্থানীয় সবার সহযোগীতা দরকার। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম