চট্টগ্রাম থেকেও ছেড়ে যায়নি কোনো ট্রেন, প্ল্যাটফর্ম ফাঁকা
চট্টগ্রাম ব্যুরো
প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৪ পিএম
রেলের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে সারা দেশের মতো চট্টগ্রামেও বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। তবে বিকল্প হিসেবে চালু করা হয় বিআরটিসি বাস সার্ভিস। এতে অনেক যাত্রী স্বস্তিতে রওনা দিয়েছেন গন্তব্যের উদ্দেশে।
এদিন স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ফাঁকা থাকলেও টিকিটের টাকা ফেরত নিতে ভিড় ছিল কাউন্টারগুলোতে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবেলা করতে সতর্ক অবস্থানে ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এদিকে দাবি আদায়ে দিনভর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের নেতারা। তাদের দাবি, এবার তারা কোনো বৈঠক বা আশ্বাসের ভিত্তিতে কর্মবিরতি থেকে সরে দাঁড়াবে না। দাবি মানলেই তারা কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেবেন।
সরেজমিন চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন অনেক যাত্রী। স্টেশনে গিয়ে কেউ কেউ টিকিটের টাকা ফেরত নিলেও অনেকেই গন্তব্যে কিভাবে পৌঁছবেন, তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন। যাদের জরুরি প্রয়োজনে ঢাকা যাওয়ার কথা ছিল, তারা পড়েছেন সবচেয়ে বেকায়দায়। এদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকাগামী চট্টলা এক্সপ্রেস, সুবর্ণ এক্সপ্রেস, সিলেটমুখী পাহাড়িকা এক্সপ্রেস, ঢাকামুখী কক্সবাজার এক্সপ্রেস, বিজয় এক্সপ্রেসের যাত্রা বাতিল করা হয়েছে। পরে উপায় না দেখে কেউ কেউ উঠে পড়েন স্টেশনের সামনে থাকা বিআরটিসি বাসে। তবে ঢাকা, কুমিল্লা ও সিলেটগামী যাত্রীরাই বিআরটিসি বাসে যাতায়াতের সুযোগ পেয়েছেন। ট্রেনের টিকিট দেখিয়ে তারা বিকল্প যাত্রার এ সুযোগ পান। অন্যান্য গন্তব্যের যাত্রীরা সেই সুযোগ পাননি।
জানা গেছে, আন্তঃনগর, কমিউটার ও লোকাল মিলে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন গন্তব্যে ২০ জোড়া ট্রেন চলাচল করে। এসব ট্রেনে প্রায় ১০ ???????? যাত্রী যাতায়াতের সুযোগ রয়েছে। এছাড়া কর্মবিরতির কারণে চট্টগ্রাম গুডস পোর্ট ইয়ার্ড (সিজিপিওয়াই) থেকে সারা দেশে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচলও বন্ধ রয়েছে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আবু বক্কর ছিদ্দিক যুগান্তরকে বলেন, রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির কারণে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। যাত্রীদের টিকিটের টাকা কাউন্টার থেকে ফেরত দেওয়া হচ্ছে। তবে কতজনকে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে সেই হিসাব বুধবার জানা যাবে।
সন্ধ্যায় বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের পাহাড়তলী শাখার সম্পাদক গোলাম শাহরিয়ার বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকাল থেকে দিনভর কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের দাবি নিয়ে এ পর্যন্ত একাধিকবার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা আর কোনো বৈঠকে বসতে চাই না। আমাদের দাবি মানা হলেই কর্মবিরতি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে।