মোহনগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী আন্তঃনগর হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি ময়মনসিংহ রেলওয়ে জংশন স্টেশনে রেখে পালিয়ে গেছেন চালক। কিছু সময় পর ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে না যাওয়ায় বিক্ষুব্ধ যাত্রীরা হৈ-চৈ শুরু করেন এবং পরে স্টেশন সুপারিন্টেনডেন্ট নাজমুল হক খানকে ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ করে রাখেন।

এ সময় স্টেশন সুপারিন্টেনডেন্ট টিকিটধারী যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরতের আশ্বাস দিলে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এ জংশন স্টেশনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।

এদিকে ঢাকাগামী আন্তঃনগর হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি গন্তব্যে না যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। ট্রেন না ছাড়ার খবরে নিরুপায় দূর-দূরান্তের যাত্রীরা নগরীর পাটগুদাম বাসস্ট্যান্ড ও মাসকান্দা আন্তঃজেলা বাস টার্মিনাল থেকে বাসে করে ঢাকায় ফিরেন।

যাত্রীদের অভিযোগ, রেলওয়ে রানিং স্টাফদের অনির্দিষ্টকালের  কর্মবিরতির খবর আমরা জানি; কিন্তু ট্রেনটি ছাড়ল কেন? আমরা বাসযোগে অথবা বিকল্প পথে গন্তব্যে ফিরতাম। পরিবার নিয়ে অযথা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। যাত্রীরা ট্রেনটি ছাড়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, স্টেশন মাস্টার ও চালকের শান্তি দাবি করেন।

ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনের সুপারিন্টেনডেন্ট নাজমুল হক খান বলেন, ঢাকাগামী আন্তঃনগর হাওড় এক্সপ্রেস ট্রেনটি ময়মনসিংহ জংশন স্টেশনে পৌঁছার পর চালক পালিয়ে যান। এটি অত্যন্ত দুঃখজনক। চালকের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করেও ব্যর্থ হই। যাত্রীরা আমাকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে যাত্রীদের টিকিটের টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

মাইলেজ সুবিধা পুনর্বহাল না করায় সোমবার মধ্যরাত থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতির ডাক দেন বাংলাদেশ রেলওয়ে রানিং স্টাফ ঐক্য পরিষদ (লোকোমাস্টার, গার্ড, টিটিই)। মঙ্গলবার কর্মবিরতির মধ্যেই সকাল সাড়ে ১০টায় ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে আসে ঢাকাগামী আন্তঃনগর হাওড় এক্সপ্রেস।