যশোরের চৌগাছায় ফুল দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ঝোপের আড়ালে নিয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশুকে (৯) ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। সোমবার রাতে নির্যাতিত শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

এ মামলার একমাত্র আসামি স্রোত আলী (৫৫)। তিনি উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে।

শিশুটিকে পুলিশ হেফাজতে রেখে পরীক্ষার জন্য ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, গত ২৫ জানুয়ারি দুপুর ১২টার দিকে শিশুটি বাড়ির পাশে ফুল কুড়াতে যায়। এ সময়  স্রোত আলী তাকে ফুল দেওয়ার লোভ দেখিয়ে পাশের মাঠে নিয়ে যায়। মাঠের একটি ঝোপের আড়ালে নিয়ে মুখ চেপে ধরে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। একপর্যায়ে শিশুটি চিৎকার করলে এ ঘটনা কাউকে না বলার হুমকি দিয়ে স্রোত আলী তাকে ছেড়ে দেয়। এতে শিশুটি আতঙ্কিত হয়ে বাড়িতে ফিরে অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। রাতে ঘুমের মধ্যেও নির্যাতিত শিশুটি ভয়ে চিৎকার দেয়। পরে জানতে চাইলে শিশুটি তার মায়ের কাছে ঘটনা স্বীকার করে।

পরদিন বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে, স্থানীয়রা ২৭ জানুয়ারি সোমবার সন্ধ্যায় সালিশ বিচারে বসেন। স্থানীয় বিচারে স্রোত আলীকে ৩৫ হাজার টাকা আর্থিক জরিমানা করা হয়।

এদিকে স্রোত আলীর মেডিকেল পড়ুয়া ছেলে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দিয়ে অভিযোগ করেন তার পিতাকে আটকে রেখে নির্যাতন করা হচ্ছে। ফোন পেয়ে চৌগাছা থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে অভিযুক্ত স্রোত আলী পালিয়ে যান। এ সময় পুলিশ প্রকৃত ঘটনা জানতে পেরে নির্যাতিত শিশুটির পরিবারকে থানায় অভিযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেয়। সোমবার রাতেই থানায় উপস্থিত হয়ে শিশুটির মা মামলা দায়ের করেন।

চৌগাছা থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, শিশু ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে আটকের চেষ্টা চলছে।