Logo
Logo
×

সারাদেশ

টেকনাফ বন্দরে সিন্ডিকেট বাণিজ্য

শ্রমিকদের কোটি টাকা আত্মসাৎ

Icon

নাছির উদ্দীন, টেকনাফ (কক্সবাজার)

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৫৫ এএম

শ্রমিকদের কোটি টাকা আত্মসাৎ

কক্সবাজারের টেকনাফ স্থল বন্দরে সিন্ডিকেট বাণিজ্যের মাধ্যমে দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন শক্তিশালী এক চক্র। যারা বিভিন্ন অজুহাতের বাহানা দিয়ে প্রতিদিন শ্রমিকদের বেতনের টাকা কেটে হাতিয়ে নিচ্ছে।

এদিকে শ্রমিকরা দিন-রাত পরিশ্রম করলেও টাকার ভাগ বসান বন্দরের মাঝি চক্রের সিন্ডিকেট। এতে করে প্রকৃত শ্রমিকরা তাদের মজুরি না পেলেও লাভবান হয় সেন্ডিকেট চক্রটি। এঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যে বন্দর শ্রমিকরা বিক্ষোভও করেছেন। 

সাধারণ শ্রমিকরা বলেন, আমরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশের উন্নয়নে ও নিজেদের জীবন-জীবিকার তাগিদে কাজ করলেও দিন শেষে বন্দরের মাঝি সিন্ডিকেট সদস্যরা আমাদের পরিশ্রমের টাকাগুলো ভাগ বাটোয়ারা করে হাতিয়া নেয়। যদি আমরা এর প্রতিবাদ করি, তাহলে বন্দর থেকে আমাদের বের করে দেওয়ার হুমকি দেন। আমাদের দাবিগুলো মানা না হলে প্রয়োজনে আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।

সাধারণ শ্রমিক আব্দুল আমিন বলেন, বন্দর থেকে একটি গাড়ি লোড-আনলোড করতে শ্রমিকদের দেওয়ার কথা বলে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকার বাজেট করে নিলেও সে টাকা শ্রমিকদের কাছে পৌঁছতে পৌঁছতে ৩ থেকে ৫ হাজার হয়ে যায়। শুধু তা নয় ওই মাঝি সিন্ডিকেট আমাদেরকে বন্দর থেকে শ্রমিক কার্ড দেওয়ার কথা বলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। ১৫ বছর পার হলেও আমাদের শ্রমিকরা এখনো কোনো শ্রমিক কার্ড হাতে পায়নি। আমরা এ বৈষম্য থেকে বর্তমান সরকারের কাছে পরিত্রাণ চাই। আমাদের শ্রমিকদের প্রকৃত অধিকার চাই। শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ বন্ধ চাই। 

শ্রমিক আব্দু শুক্কুর বলেন, টেকনাফ বন্দরের সৃষ্টি লগ্ন থেকে আমি শ্রমিক হিসাবে কাজ করছি। এ বন্দরে আজগর মাঝিসহ ১২ জন মাঝি রয়েছে, যারা মাঝি নাম দিয়ে ঘুরে ঘুরে শুধু আমাদের শ্রমিকদের টাকা আত্মসাৎ করে। তাদের কাজ থেকে কোনো দিন আমরা সহযোগিতা পাননি। বিগত দিনে মাঝিদের শ্রমিকদের টাকার কথা বলতে গেলে সিন্ডিকেটের সাবেক এমপি আব্দুর রহমান বদির ভয় দেখাতো। যার কারণে আমরা অসহায় হয়ে শ্রমের টাকা না নিয়ে বাড়ি চলে যেতাম।

এ বিষয়ে টেকনাফ স্থলবন্দরের প্রধান মাঝি আজগর জানান, সমস্যা সমাধানে শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও টেকনাফ স্থল বন্দরের পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক শেখ এহসান উদ্দীন জানান, বিষয়টি আলোচনাধীন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম