বৈষম্যবিরোধেী আন্দোলনে সিলেটে সাংবাদিক এটিএম তুরাব হত্যা মামলার অন্যতম আসামি সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার সাদেক কাউসার দস্তগীরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে বরখাস্ত করা হয়।

বরখাস্ত হওয়া বহুল আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা সাদেক কাউসার দস্তগীর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ১৯ জুলাই সিলেটে গুলি করে সাংবাদিক এটিএম তুরাব হত্যা মামলার আসামি। ইতোমধ্যে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। গ্রেফতারের আগে তিনি ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টার শেরপুরে কর্মরত ছিলেন। রোববার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বিষয়টি জানায়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার সাদেক কাউসার দস্তগীরের বিরুদ্ধে সিলেট কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা রয়েছে। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর তাকে শেরপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়। গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর থেকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।

গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর সাদেক কাউসার দস্তগীরকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সিলেট আদালতে তোলা হয়। আদালত তুরাব হত্যা মামলায় সাদেক কাউসার দস্তগীরের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে তুরাব হত্যা মামলায় ১৭ নভেম্বর রাতে আরেক আসামি পুলিশ কনস্টেবল উজ্জ্বলকে ঢাকা থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই। বর্তমানে এই দুজন কারাগারে আছেন। তবে এখন পর্যন্ত এ মামলায় আর কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকালে গত ১৯ জুলাই সিলেট নগরীর বন্দরবাজার এলাকায় পুলিশের গুলিতে মারা যান নয়াদিগন্ত ও স্থানীয় দৈনিক জালালাবাদের সাংবাদিক এটিএম তুরাব। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ১৯ আগস্ট সিলেটের অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতের বিচারক আব্দুল মোমেনের আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাই আবুল হাসান মো. আজরফ জাবুর।

মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, তৎকালীন সিলেট মহানগর পুলিশের (এসএমপি) অতিরিক্ত উপকমিশনার (ক্রাইম ও উত্তর) মো. সাদেক দস্তগীর কাউছার, উপকমিশনার (উত্তর) অতিরিক্ত ডিআইজি আজবাহার আলী শেখসহ ১৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া মামলায় আরও ২০০ থেকে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।