Logo
Logo
×

সারাদেশ

বাংলাদেশে ঢুকে হত্যা: পতাকা বৈঠকে তীব্র প্রতিবাদ, কৈফিয়ত চেয়েছে বিজিবি

Icon

কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম

বাংলাদেশে ঢুকে হত্যা: পতাকা বৈঠকে তীব্র প্রতিবাদ, কৈফিয়ত চেয়েছে বিজিবি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার মুরাইছড়া সীমান্তে অবৈধভাবে ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করে বাংলাদেশি যুবক আহাদ আলীকে হত্যার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও কৈফিয়ত চেয়েছে বিজিবি। সোমবার ২৭ জানুয়ারি কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ের পতাকা বৈঠকে এ কৈফিয়ত চেয়েছে বিজিবি।

কুলাউড়া উপজেলার চাতলাপুর সীমান্তে বিকালে অনুষ্ঠিত পতাকা বৈঠকে নেতৃত্ব দেন ভারতীয় বিএসএফের এসি রবীন্দ্র প্রতাপ সিংহ ও শ্রীমঙ্গলের সেক্টর কমান্ডার লে. কর্নেল জাকারিয়া।

বিজিবি সূত্র জানায়, বিএসএফ টহলরত অবস্থায় থাকার পরও ভারতীয়রা কিভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করে বাংলাদেশের একজন যুবককে কুপিয়ে পুনরায় ভারতে যেতে পারল। সীমান্তের গেট খোলা ছিল নাকি টপকে তারা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে তার ব্যাখ্যা  চেয়েছে বিজিবি।

এছাড়া নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কুলাউড়া থানায় ভারতীয়দের বিরুদ্ধে যে হত্যা মামলা হয়েছে, সেই মামলার ভারতীয় আসামিদের শনাক্ত এবং ভারতীয় পুলিশের মাধ্যমে সহযোগিতা করা হবে বলে বিএসএফ নিশ্চিত করেছে বিজিবিকে।

হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উনকোটি জেলার ইরানী থানার নাগরিক হায়দার আলীসহ ৭ জনের নামে মামলা হয়েছে। রোববার রাত ১২টার দিকে কুলাউড়া থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী জমিরুন্নেছা। এজাহারভুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিকও রয়েছেন বলে জানা গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এওলাছড়া বস্তির বিপরীতে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উনকোটি জেলার ইরানী থানা পড়েছে। নিহত আহাদের শ্বশুরবাড়ি সীমান্তের ওপারে। সেখানে ভারতের কাঁটাতারের বাইরে (জিরো লাইনে) আহাদের শ্বশুরবাড়ির কিছু জমি রয়েছে। ঘটনার মুলহোতা হায়দার আলী ওই জমি বর্গা নিয়েছেন; কিন্তু হায়দার আলী বর্গা নেওয়ার পর থেকে টাকা নিয়মিত পরিশোধ করেন না। এ নিয়ে আহাদের সঙ্গে হায়দার আলীর বিরোধ চলছিল। এর জেরে হায়দার রোববার দুপুরের দিকে আহাদকে সীমান্তে ডেকে নেন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হায়দার আলী ও তার কয়েকজন সহযোগী ধারালো অস্ত্র দিয়ে আহাদকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ফেলে রেখে সীমান্ত অতিক্রম করে চলে যান।

কুলাউড়া থানার ওসি গোলাম আফসার জানান, বিজিবির মাধ্যমে ভারতীয় পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে; যাতে হত্যা মামলার ভারতীয় আসামিদের ভারতীয় পুলিশ যাতে আটক করে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম