পটুয়াখালীর বাউফলে সুজন হাওলাদার (৩০) নামের এক যুবলীগ নেতাকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। সোমবার সন্ধ্যায় কনকদিয়া ইউনিয়নের আমিরাবাদ বাজারসংলগ্ন ছোট ব্রিজের পাশে এ ঘটনা ঘটেছে।
নিহত সুজন পেশায় অটোচালক। তিনি মদনপুরা ইউনিয়নের দ্বিপাশা গ্রামের নবী আলী হাওলাদারের ছেলে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অটোরিকশায় যাত্রী নেওয়ার জন্য আমিরাবাদ বাজারে অপেক্ষা করছিলেন সুজন। এ সময় ৪-৫ জন দুর্বৃত্ত ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে আহত সুজনকে বাউফল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
নিহত সুজনের চাচা আবদুল মান্নান হাওলাদার বলেন, সুজন মদনপুরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের যুবলীগের সদস্য ছিলেন। স্থানীয় পীরজাদা মশিউর রহমানের দরবারে যাতায়াত ছিল সুজনের। ওই দরবারে যাতায়াতের বিষয়টি স্থানীয় একটি মহল মেনে নিতে পারছেন না। তাই পরিকল্পিতভাবে সুজনকে খুন করা হতে পারে। তবে এ কারণেই যে সুজনকে খুন করা হয়েছে তা নিশ্চিত নয়। খুনের অন্য মোটিভও থাকতে পারে বলে ধারনা করছেন তিনি।
নিহতের বাবা নবী আলী হাওলাদার অভিযোগ করেছেন, উপজেলা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. মিরাজের (৩০) নেতৃত্বে তার ছেলে সুজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনার দ্রুতবিচার দাবি করেন তিনি।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রদল নেতা মিরাজ বলেন, আমাকে নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে।
বাউফল থানার এসআই মো. মফিজুল ইসলাম বলেন, সুজনের শরীরের একাধিক স্থানে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।
বাউফল থানার ওসি কামাল হোসেন বলেন, লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমের পরিবার মামলা করার পর পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।