পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের কয়রাছাড়া নাসির আলী মাদ্রাসায় বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বন্ধ হয়ে গেছে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের হট্টগোলে।

সোমবার অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতার সময় বিএনপি নেতারা দাওয়াত না পাওয়ার অভিযোগ তুলে হৈচৈ শুরু করলে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হন। কয়রা গ্রাম ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কালামের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একটি দল এই কাণ্ড ঘটায়।

তিন সপ্তাহ ধরে চলমান বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপ্তি অনুষ্ঠানটি সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সোমবার শুরু হয়। এতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানের মাঝপথে বিএনপি নেতা কালাম ও তার সঙ্গে উপস্থিত সেকেন্দার, কামরুজ্জামান, মঞ্জু, জাহাঙ্গীর, মামুন, তুহিন, আবুল হাজীসহ আরও ১৫-০ জন অভিযোগ করেন তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের দাওয়াত না দিয়ে অনুষ্ঠান করছে এই অনুষ্ঠান বন্ধ করতে হবে। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আনসার আলী তাদের বারবার অনুরোধ করলেও তারা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে দেন নাই।

এই অভিযোগ ঘিরে তারা উত্তেজনা সৃষ্টি করলে মাদ্রাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অতিথিরা আতঙ্কে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে অধ্যক্ষ আনসার আলী অনুষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন।

অধ্যক্ষ আনসার আলী জানান, গ্রামের গণ্যমান্য মানুষদেরই দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দাওয়াত না পাওয়ার অভিযোগ তুলে বিএনপি নেতারা এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন, যার ফলে অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বাধ্য হই।

এদিকে এ বিষয়ে জানতে কালামের মোবাইল ফোনে কল করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।

সংশ্লিষ্ট খানমরিচ ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব খোকন বলেন, ঘটনা আমি শুনেছি; তবে কারা ছিল আমি জানি না।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার বলেন, সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান প্রধানসহ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বন্ধকারীদের আমার অফিসে ডাকা হয়েছে। কেন তারা ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বন্ধ করেছে তার জবাব চাওয়া হবে।