কাপ্তাই হ্রদের জলেভাসা জমিতে চাষাবাদের ধুম
রাঙামাটি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৭ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:১৮ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের জলেভাসা জমিতে এখন চাষাবাদের ধুম লেগেছে। এতে বোরো ধানের আবাদ নিয়ে ব্যস্ত চাষিরা। আবাদ করছেন তরমুজ ও শাকসবজিও। প্রতি বছর শুষ্ক মৌসুমে পানি কমে গেলে কাপ্তাই হ্রদের বুকে ও পাহাড়ি ঘোনায় ভেসে উঠলে দেখা দেয় বিস্তর চরাঞ্চল। ভেসে ওঠা এসব চরে ধানের চারা ও শাকসবজির বীজ রোপণ করেন চাষিরা। এবার মৌসুমেও গত ডিসেম্বর মাস থেকেই শুরু হয়েছে বোরো আবাদ।
জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে নামা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদজুড়ে জমে পলি; যা শীত মৌসুমে পানি কমতে থাকলে হ্রদের বুকে জেগে ওঠে চরাঞ্চলে। জেলার বিভিন্ন এলাকায় জলেভাসা এসব পলিজমি হয়ে ওঠে চাষাবাদযোগ্য। হ্রদের জলেভাসা জমিতে চাষাবাদ শুরু হয়ে চলে এপ্রিল পর্যন্ত। পলি ভরাট এসব জমিতে লাঙ্গল চাষ ছাড়াই ধান রোপণ করেন চাষিরা। তবে অনেক সময় চাষাবাদ দেরি হলে বর্ষা মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি বেড়ে গেলে বহু আবাদি ফসলের মাঠ তলিয়ে যায় বলে জানান চাষিরা।
রাঙামাটি জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, কাপ্তাই হ্রদের জলেভাসা জমির চাষাবাদের পরিমাণ নির্ভর করে হ্রদের পানি উঠানামার ওপর। এ বছর জেলায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টর জলেভাসা জমিতে বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ২ হাজার হেক্টরের অধিক জলেভাসা জমিতে ধান রোপণ করা হয়েছে। চাষাবাদে কৃষকদের সহায়তা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ।
রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক তপন কুমার পাল বলেন, কাপ্তাই হ্রদে পানি কমতে থাকায় বর্তমানে জলেভাসা জমিতে ধান রোপণ করছেন চাষিরা। আমরা আশা রাখছি এবার মৌসুমে চার হাজার হেক্টর জলেভাসা জমিতে আবাদ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, তরমুজ, শসা, সবজিসহ নানা জাতের ফসলের চাষাবাদও চলছে কাপ্তাই হ্রদের জলেভাসা জমিতে। কৃষি বিভাগ চাষিদের চাষাবাদে প্রয়োজনীয় সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। কৃষকদের সার, বীজ, কীটনাশক সরবরাহসহ প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন আমাদের মাঠ কর্মীরা।