পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়ার কথা বলে ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দিয়েছেন শিক্ষক। এর প্রতিবাদে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার সমাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক মো. হাদিছ উদ্দিনের অপসারণ দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

রোববার দুপুরে সমাজ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। এ সময় তাদের সঙ্গে অভিভাবকরাও অংশ নেন।

সম্প্রতি ওই শিক্ষকের ৮ মিনিট ৯ সেকেন্ডের একটি অডিও কলরেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে শোনা যায়, ওই শিক্ষক এক ছাত্রীকে পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিচ্ছেন।

মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা জানায়, মোহনগঞ্জ উপজেলার সমাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হাদিছ উদ্দিন শিক্ষার্থীদের তার কাছে প্রাইভেট পড়াতে বাধ্য করেন। অন্যথায় ফেল করানোর হুমকি দেন। এতে অনেক শিক্ষার্থী বিদ্যালয় থেকে চলে গেছে।

এছাড়া ছাত্রীদের সুযোগ সুবিধা দেওয়ার প্রলোভনে সময় বুঝে তিনি কুপ্রস্তাব দেন। দ্রুত অভিযুক্ত শিক্ষককে অপসারণ না করা হলে কঠোর আন্দোলনের হুমকি দেয় শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি শিক্ষক হাদিছ উদ্দিনকে বিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে শিক্ষার্থীরা। পরে ২ ঘণ্টা বিক্ষোভ শেষে শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয় ত্যাগ করে।

এদিকে ফাঁস হওয়া অডিও কল রেকর্ডে শিক্ষকের সঙ্গে কথা বলা ওই ছাত্রী জানায়, কল রেকর্ডটি এডিট নয়, এটি সত্যি। শিক্ষক হাদিছ উদ্দিনের সঙ্গে পরীক্ষার বিষয় নিয়ে কথা বললে- তিনি আমাকে কুপ্রস্তাব দেন। কল রেকর্ডটি কিছুদিন আগের। ওই ঘটনায় আমি স্কুলে গিয়ে সেই সময় প্রতিবাদ জানিয়েছিলাম।

শিক্ষার্থী-অভিভাবকসহ এলাকাবাসীও শিক্ষক হাদিছ উদ্দিনের অপসারণ দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন। এরই জেরে সামনে আসে ওই শিক্ষকের নানা অনিয়মের ঘটনা।

এদিকে অভিযুক্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক হাদিছ উদ্দিন নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। অডিও কল রেকর্ডটিকে তিনি এআই দিয়ে এডিট বলে দাবি করেন। এ নিয়ে শনিবার তিনি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

জানতে চাইলে বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক এনামুল হক বলেন, বিষয়টি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।