Logo
Logo
×

সারাদেশ

বগুড়ার সদর থানা

লুট হওয়া অস্ত্র মিলল পুকুরে, হদিস নেই ২৪টির

Icon

বগুড়া ব্যুরো

প্রকাশ: ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:১৮ পিএম

লুট হওয়া অস্ত্র মিলল পুকুরে, হদিস নেই ২৪টির

গত জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বগুড়া সদর থানায় হামলা চালানো হয়। লুট করা হয় ৩৯টি আগ্নেয়াস্ত্র। লুট করা সেই অস্ত্রের দুটি পাওয়া গেছে। এ নিয়ে উদ্ধার হলো ১৫টি। তবে বাকি ২৪টির এখনো কোনো হদিস মেলেনি।

রোববার বিকালে সদর উপজেলার এরুলিয়া ইউনিয়নের ঘোলাগাড়ি পূর্বপাড়ার একটি পুকুর থেকে একটি এলএমজি ও একটি চায়না রাইফেল উদ্ধার করা হয়। পুকুরটিতে আরও আগ্নেয়াস্ত্র আছে কি না, তার জন্য চালানো হবে তল্লাশী।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দীন বলেন, ‘পুকুরে আরও অস্ত্র আছে কি না তা যাচাইয়ে তল্লাশী করা হবে।’

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে গত বছরের ৫ আগস্ট দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপরেই শহরের কাজী নজরুল ইসলাম সড়কে থাকা সদর থানায় অবস্থান করা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালানো হয়। সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় পুলিশ সদস্যরা গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে থানা থেকে পালিয়ে যান। এরপর দুর্বৃত্তরা থানার ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। পরে অস্ত্রগার থেকে ৩৯টি আগ্নেয়াস্ত্র লুট করে। এছাড়া শার্টগানের তিন হাজার ৪০০ রাউন্ড কার্তুজ ও টিয়ারশেল এবং দুই হাজার রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি লুট হয় ও পুড়ে যায়।

পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পর আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রের জন্য অভিযান চালাতে থাকে। বারবারের প্রচেষ্টায় ১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করতে পারে তারা। তবে উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্রগুলোর অধিকাংশই ব্যবহারের অনুপযোগী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘোলাগাড়ি পূর্বপাড়ার এক কৃষক রোববার বিকালে জমিতে কীটনাশক দিতে যান। এ জন্য গ্রামের বাবলু মিয়ার পুকুরে পানি আনতে যান তিনি। পুকুরের কাদামাটিতে দুটি আগ্নেয়াস্ত্রের নল দেখে বিষয়টি স্থানীয়দের জানান। খবর পেয়ে গ্রামের লোকজন পুকুরপাড়ে ভিড় করতে থাকেন। এর মধ্যে একজন জাতীয় পরিষেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিয়ে বিষয়টি জানায়। পরে সদর থানার ওসি এস এম মঈনুদ্দীন সেখানে যান।  পুকুর থেকে মরচে ধরা একটি এলএমজি ও একটি চায়নিজ রাইফেল উদ্ধার করেন।

এস এম মঈনুদ্দীন বলেন, ‘উদ্ধার করা এলএমজি ও চায়না রাইফেলের গায়ে থাকা নম্বর দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে, এগুলো থানা থেকে লুণ্ঠিত। পানি কাদার মধ্যে থাকায় আগ্নেয়াস্ত্রের কাঠের বাট পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। অস্ত্রগুলো সক্রিয় আছে কি না তা পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম