
প্রিন্ট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৯:০৫ পিএম

শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:০০ পিএম
-6794ee8953ae3.jpg)
আরও পড়ুন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের করা গুলিতে আহত হয়েছিলেন মাদারীপুর জেলার শিবচরের নবম শ্রেণির ছাত্র রায়হান। পৌরসভার কেরানীবাট এলাকার স্বপন মাদবরের ছেলে রায়হানের মাথাসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ১৭টি গুলি লাগে। মাথার যন্ত্রণায় এখনো হাসপাতালে আর বাড়িতে যাওয়া আসার মধ্যে থাকতে হচ্ছে। উন্নত চিকিৎসা না পেলে মানসিক ভারসাম্য হারানোর আশঙ্কা করছে তার পরিবার।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, হতদরিদ্র পরিবারের সন্তান রায়হান স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। সদা চঞ্চল ২৪-এর এই যোদ্ধা গত ৫ জুলাই থেকে আন্দোলনে অংশ নেয়। আন্দোলন চলাকালে তার মাথাসহ পিঠ, হাত-পা ও ঘাড়ে লাগে পুলিশের ছররা গুলি। বেশ কয়েকটি গুলি মাথায় লেগে গুরুতর আহত হয় সে। কিন্তু বুকে বেজায় সাহস নিয়ে সেই ছররা গুলি শরীরে বহন করেই আন্দোলন চালিয়ে যায় রায়হান। এরপর আন্দোলন শেষ হয়, স্বৈরাচারের পতন হয়। কিন্তু গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে ধীরে ধীরে মাথার যন্ত্রণা বাড়তে থাকে রায়হানের। এক পর্যায়ে রায়হানের মানসিক ভারসাম্য লোপ পেতে থাকে। বিষয়টি পরিবারের নজরে এলে তারা চিকিৎসা চালিয়ে যান। এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন তার বড় ভাই জাকির হোসেন। ব্যয় হয়েছে অনেক অর্থ। তবে এখন অর্থাভাবে চিকিৎসা চালাতে হিমশিম খাচ্ছে পরিবারটি। উন্নত চিকিৎসা না করালে রায়হান হারাতে পারে তার মানসিক ভারসাম্য।
রায়হান আহমেদের সঙ্গে কথা হলে সে বলে, দেশের জন্য স্বাধীনতার জন্য যুদ্ধে নেমেছি। লাগলে আবার নামব।
তবে মাথায় যন্ত্রণা থাকায় আর তেমন কিছুই বলতে পারেনি চব্বিশের এই যোদ্ধা।
জাতীয় নাগরিক কমিটির শিবচর শাখার সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিকী জানান, আন্দোলনে অন্যদের মতো রায়হান রাজপথে ছিল। শেখ হাসিনার পতন আন্দোলনে তার শরীরে ও মাথায় গুলি লাগে। এখনো তার চিকিৎসা চলছে। আমাদের পক্ষ থেকে নিয়মিত আহতের খোঁজখবর নিচ্ছি। সহায়তা করার চেষ্টা করছি।