রাবিতে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে স্থানীয়দের মহাসড়ক অবরোধ
রাবি প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৫ জানুয়ারি ২০২৫, ০৪:০৭ এএম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিমুল নামে রাজশাহী কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিনোদপুর গেটের সামনে বিক্ষোভ করছে স্থানীয়রা। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে মিছিল নিয়ে বিনোদপুর গেট অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে তারা। আন্দোলনকারীরা এ সময় দুই দিকের গাড়ি আটকে দেয়।
এ সময় তারা ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’; ‘তুমি কে আমি কে, বহিরাগত, বহিরাগত’; ‘শিমুল ভাই কবরে, খুনি কেন বাইরে’; ‘জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো’; ‘প্রক্টরের দুই গালে জুতা মারো তালে তালে’; ‘একশান টু একশান ডাইরেক্ট একশান; রাজশাহী কলেজের একশান, ডাইরেক্ট একশান’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকে।
বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন মেহেরচন্ডী এলাকার বাসিন্দা নিলয় নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, আমরা বহিরাগত বলে ক্যাম্পাসে ঢুকলে মেরে ফেলবে কেন? এছাড়াও আমাদের বিভিন্ন সময় টোকাই, বহিরাগত বলে অপমান করা হয়। আমাদের এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়, আমরা কেন ঢুকবো না? আমরা শিমুল হত্যার বিচার চাই। দাবি না মানালে আমরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাব।
ওমর নামের এক বিক্ষোভকারী বলেন, আমরা যারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী না তারা ক্যাম্পাসে ঢুকলে আমাদের বিভিন্নভাবে গালিগালাজ করা হয়। আমরা আজকের ঘটনার তদন্ত করে দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি। দোষীদের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমরা বিক্ষোভ চালিয়ে যাব। সেই সঙ্গে এই ঘটনা যেন আর না ঘটে সেই দাবি জানাই।
বিক্ষোভের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, যেহেতু একটা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে তারা বিক্ষোভ করবে, এটা স্বাভাবিক। আমরা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছি।
আগামীকাল ঢাবির ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টা পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছি। তারা হয়তো পদক্ষেপ নেবে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে রাজশাহী কলেজের শিমুল শিহাব নামের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মৃত্যু নাকি মারধরে মারা গেছেন সেটা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
পুলিশ বলছে, নিহতের পরিবার মৌখিকভাবে দাবি করছে তাকে মারধর করে মারা হয়েছে। তবে লাশে কোনো মারধর, ছেড়া-ফাটা কিংবা ক্ষতের দাগ পাওয়া যায়নি বলে জানায় পুলিশ। তাই সুনির্দিষ্টভাবে এখনো কিছু বলতে পারছেন না তারা। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে জানিয়েছে পুলিশ।
এদিকে রামেকের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক বলছেন, তাকে ফিজিক্যাল এসালড ব্রডডেথ হিসেবে পেয়েছেন। শরীরের বাইরের অংশে মেজর কোনো ক্ষতের দাগ পাওয়া যায়নি।