Logo
Logo
×

সারাদেশ

আগাম তরমুজ ও বাঙ্গি চাষে সাফল্য

Icon

কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:৪৬ পিএম

আগাম তরমুজ ও বাঙ্গি চাষে সাফল্য

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় আগাম তরমুজ ও বাঙ্গি  চাষ করে সফলতা অর্জন করেছেন নেজাম উদ্দিন। সরকারি কোনো প্রশিক্ষণ ছাড়া ত্রিশ বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে চলতি বছরেও চাষ করে ভালো সাফল্য অর্জন করছেন তিনি। 

মাত্র ৮০ হাজার টাকা পুঁজি নিয়ে আগাম তরমুজ ও বাঙ্গি চাষে নামেন তিনি। ইতোমধ্যে  দেড় লাখ টাকার তরমুজ ও বাঙ্গি বিক্রি করেছেন। আরও লাখ দেড়েক টাকার ফল মাঠে রয়েছে। 

সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার বড়ঘোপ বাজার থেকে তিন কিলোমিটার দূরে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের বায়ুবিদ্যুৎ ও পুতিন্যাপাড়া পাড়ার অধিকাংশ জায়গায় লবণ চাষ করছেন কৃষকরা। তার মাঝখানে হয়েছে তরমুজ ও বাঙ্গি খেত। এলোমেলো লতাগুল্মের সঙ্গে লেপ্টে থাকা একেকটি ফল যেন কেউ থরে থরে সাজিয়ে রেখেছেন। 

নেজাম উদ্দিন তার খেতে পরিচর্যার কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তিনি বলেন, অন্যান্য বছরের মতো চলতি মৌসুমে ৬০ শতক জমি বর্গা নিয়ে আগাম চাষে নেমেছি। কোনো সময় ব্যর্থ হইনি, সবসময় লাভবান হয়েছি। তবে এবার কিছুটা ক্ষতি হয়েছে বেড়িবাঁধ ভেঙে লবণাক্ত পানি ঢুকার কারণে। লবণাক্ত পানি না ঢুকলে পাঁচ লাখ টাকার ফল বিক্রি করা যেত। আগামী এক মাসের মধ্যে সব ফল বিক্রি করে ধান চাষ করব এই মাঠে। 

বৃহস্পতিবার নেজাম উদ্দিনের খেত থেকে তরমুজ কিনতে আসেন কুতুবদিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোহাম্মদ সাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, শীতকালীন তরমুজের দাম একটু বাড়তি হলেও চাহিদা রয়েছে বাজারে, ফলের স্বাদও অন্যরকম। কয়েক দিন আগেও তরমুজ কিনতে এসেছিলাম। স্বাদে ভালো তাই আবারও তরমুজ কিনতে এসেছি। 

নেজামের মতো অনেকেই আগাম তরমুজ ও বাঙ্গি চাষ করে লাভবান হয়েছেন কুতুবদিয়ায়। তবে তাদের দাবি স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হলে সফলতা আরও দ্বিগুণ হতো। 

আরেক চাষি শামশুল আলম জানান, তিনি ৮০ শতক জায়গায় তরমুজ চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে ২ লাখ টাকার তরমুজ বিক্রি করেছেন। আরও দুই থেকে আড়াই লাখ টাকার ফল মাঠে রয়েছে। এতে সব খরচ বাদ দিয়ে অন্তত ৩ লাখ টাকা লাভ করার ব্যাপারে আশাবাদী তিনি। 

স্থানীয়রা জানান, বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী বায়ুবিদ্যুৎ, পুতিন্যাপাড়ায় প্রতি বছর আগাম তরমুজ ও বাঙ্গি চাষ করা হয়। তবে তরমুজ খেতে সেচের জন্য মিঠাপানির প্রয়োজন। তাই তারা টিউবওয়েলের মিঠা পানি দিয়ে এ চাষ করেন। 

সাধারণত ডিসেম্বরে আমন ধান তোলার পর জানুয়ারি থেকে তরমুজের আবাদ শুরু হয় এবং ফলন আসে এপ্রিলে। তবে কুতুবদিয়া উপজেলার সাগরপাড়ে এসব এলাকায় অক্টোবর মাসে আগাম তরমুজ ও বাঙ্গির আবাদ শুরু হয়। জানুয়ারির শুরুতে তরমুজ ও বাঙ্গি বিক্রি শুরু হয়। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, প্রতি বছর কুতুবদিয়ায় আগাম তরমুজ ও বাঙ্গির চাষ হয়ে থাকে। এ বছরও ১৫ হেক্টর জমিতে আগাম চাষ হয়েছে। তরমুজ ও বাঙ্গির ফলন ভালো হয়েছে। আগাম তরমুজ বিক্রিও শুরু হয়েছে। কৃষকরা ভালো দাম পাচ্ছেন। কৃষি অফিস থেকে ১৭ জন চাষিকে সরকারি প্রণোদনার আওতায় এনে সার সরবরাহ করেছি, যেন তাদের চাষ করতে সুবিধা হয়।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম