Logo
Logo
×

সারাদেশ

জাল জন্মনিবন্ধনে কিশোরীর বিয়ের কাবিন, শ্রমিক দল নেতাকে কারাদণ্ড

Icon

শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৮:১৯ পিএম

জাল জন্মনিবন্ধনে কিশোরীর বিয়ের কাবিন, শ্রমিক দল নেতাকে কারাদণ্ড

গাজীপুরের শ্রীপুরে ১৩ বছর বয়সি কিশোরীকে জাল জন্মনিবন্ধনের মাধ্যমে বাল্যবিয়ের রেজিস্ট্রেশন (কাবিন) করার অভিযোগে এক শ্রমিক দল নেতাকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে বরকে ২১ দিনের কারাদণ্ড ও কিশোরী মাকে অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার রাত ১১টার দিকে শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আতাহার শাকিল এ দণ্ড দেন। এর আগে সন্ধ্যার দিকে পৌর এলাকার বেড়াইদেরচালা গ্ৰামে এ বাল্যবিয়ের ঘটনা ঘটে।

বাল্যবিবাহের দায়ে কাজি মো. আবুল কালাম আজাদকে (৪০) ভ্রাম্যমাণ আদালত ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন।

আবুল কালাম শ্রীপুর উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের কর্ণপুর গ্ৰামের তাইজ উদ্দিনের ছেলে ও উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি।

ভ্রাম্যমাণ আদালত বিয়ের বর ফাহরুম হোসেনকে (২৩) ২১ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। তিনি সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর গ্ৰামের ফারুক মিয়ার ছেলে। এছাড়া কনের মা ফিরোজা খাতুনকে (৪০) ২ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

উপজেলা বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য মেহেদী হাসান আশিক বলেন, কম্পিউটারের মাধ্যমে ১৩ বছর বয়সি শিশুর বয়স ১৮ বছর বানিয়ে বিয়ে দেওয়ার কাজ চলছিল। সবকিছু জানা সত্ত্বেও মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিয়ে পড়ান কাজি কালাম। তিনি অতিরিক্ত ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে কম্পিউটার থেকে ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করেন। বিষয়টি গোপন সূত্রে জানতে পেরে সেখানে আমাদের পাঠান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সেখানে গিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হই।

স্থানীয় স্কুল শিক্ষার্থীরা প্রতিরোধ করতে চেষ্টা করেছিল; কিন্তু আবুল কালাম শ্রমিক দল নেতা, তাই রাজনৈতিক এবং সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ছাত্রদের সঙ্গে নানারকম প্রভাব খাটিয়ে ভয়ভীতি দেখায়। পরে আমরা ইউএনওকে খবর দিলে তিনি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালান। এ সময় অভিযুক্তদের উপজেলা প্রশাসনে নিয়ে যান। পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের শাস্তি দিয়েছেন প্রশাসন।

শ্রীপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট আতাহার শাকিল বলেন, গোপনে স্কুলপড়ুয়া ১৩ বছর বয়সি কিশোরীকে বেআইনিভাবে বিয়ে দেওয়া হচ্ছিল। এমন খবর পেয়ে সেখানে অভিযান পরিচালনা করে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্টদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে এমন অভিযান নিয়মিত চলবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম