ময়মনসিংহের নান্দাইলে বিয়ের প্রলোভনে জিম্মি করে মুক্তিপণের হাত থেকে উদ্ধার করা হলো দুই সন্তানসহ জননীকে। বুধবার রাতে নান্দাইল মডেল থানার ওসি মো. ফরিদ আহমেদের নেতৃত্বে এসআই মো. শাহিনুল আলম শাহিন স্থানীয় গ্রামপুলিশের সহযোগিতায় জীবন মিয়ার বাড়ি থেকে জননীসহ তিনজনকে উদ্ধার করেন।

উদ্ধারকৃতরা হচ্ছেন- গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার মাঝিগাতি এলাকার গৃহবধূ (৩০) ও তার ৭ ও ৪ বছর বয়সের দুই সন্তান। তবে জিম্মি ও মুক্তিপণ দাবিকারী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

জানা গেছে, ওই দুই সন্তানের জননীর সঙ্গে প্রায় দুই মাস পূর্বে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের আ. মতিনের পুত্র জীবন মিয়া। নিজ এলাকায় তিন-তিনটি বিয়ে করেন জীবন মিয়া। সর্বশেষ তার স্ত্রী দুই সন্তান রেখে মারা যাওয়ার সুযোগে বিয়ের আশ্বাস দেন ওই গৃহবধূকে।

একপর্যায়ে ওই গৃহবধূ সোমবার তার নিজের দুই সন্তানসহ জীবন মিয়ার আশ্বাসে স্বামীর বাড়ি ত্যাগ করে তার সঙ্গে চলে আসেন নান্দাইলে। পরে এ বিষয়ে ওই গৃহবধূর পরিবার কাশিয়ানী থানায় তিনজন নিখোঁজের ঘটনায় সাধারণ ডায়েরি নথিভুক্ত করে।

এদিকে গৃহবধূ ও তার সন্তানকে জিম্মি করে তার পরিবারের কাছে মোটা অংকের মুক্তিপণ দাবি করতে থাকে জীবন মিয়া। পরে বিষয়টি কাশিয়ানী থানা পুলিশ নান্দাইল মডেল থানা পুলিশকে অবহিত করলে বুধবার রাত ১০টার দিকে তাদের জীবন মিয়ার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে ওই গৃহবধূর পিতা ও স্বামীর বাড়ির লোকজনের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

এ ঘটনায় জীবন মিয়ার বাবা আব্দুল মতিন বলেন, আমার ছেলে ভালো নয়। সে আরও কয়েকটি বিয়ে করেছে। তবে টাকার বিষয়ে আমি কিছু জানি না।

নান্দাইল মডেল থানার ওসি মো. ফরিদ আহমেদ বলেন, জীবন মিয়া পলাতক আছে। আর এ বিষয়ে একটি জিডি নথিভুক্ত করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযোগ পেলে অপরাধীকে গ্রেফতারসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।