সিংড়ায় আগুনে পুড়ল দোতলা মাটির ঘর
সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭:০৪ পিএম
নাটোরের সিংড়ায় মাটির দোতলা ঘর আগুনে পুড়ে গেছে। এতে ঘরের ১১ ভাইয়ের নয়টি রুমের নগদ পাঁচ লাখ টাকা, টিভি, ফ্রিজ, মোটরসাইকেল, সেলাইমেশিন, চাল-ডালসহ সব আসবাবপত্র পুড়ে যায়।
বুধবার রাতে উপজেলার খাজুরা ইউনিয়নের চৌপুকুরিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। দোতলা ঘরের দুপাশ থেকে আগুন লেগে মুহূর্তের মধ্যে পুরো এলাকা ধোঁয়ায় অন্ধকার নেমে আসে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে তিন ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ততক্ষণে ওই বাড়ির নয়টি রুম ও ভেতরে থাকা আসবাবপত্র পুড়ে যায়।
ওই বাড়িতে বসবাসরত এগারো ভাইয়ের মধ্যে বড় ভাই নাটোর আদালতের আইনজীবী সহকারী জালাল উদ্দিন। তিনি জানান, আগুনে নগদ পাঁচ লাখ টাকা, টিভি, ফ্রিজ, মোটরসাইকেল, সেলাইমেশিন, চাল-ডালসহ আসবাপত্র পুড়ে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
জালাল উদ্দিন বলেন, সম্প্রতি বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরে তাদের ১১ ভাইসহ ১৩ জনকে আসামি করে আদালতে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন চাচাতো ভাই আব্দুল কাদের, আবু বক্কর ও সাইফুল ইসলাম। ওই মামলায় সাজা ভোগ করে আড়াই মাস পর উচ্চ আদালতের জামিনে বাড়ি ফেরেন তারা। তাদের আসার খবরে প্রতিপক্ষরা বাড়িতে আগুন দিয়েছে বলে দাবি করছেন তিনি।
তবে প্রতিপক্ষের রাহাতুন বেওয়া জানান, তাদের সঙ্গে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধ ও একটি হত্যা মামলা রয়েছে। কারও বাড়িতে আগুন দেওয়ার মতো জঘন্য কাজ তারা করেননি। বরং তারা আগুন লাগার খবর পেয়ে ছুটে গিয়ে আগুন নিভিয়েছেন।
সিংড়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ আব্দুল শাহীন জানান, গভীর রাতে মুঠোফোনে আগুন লাগার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারি। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। আগুনে দশ লাখ টাকা ক্ষতি ও নগদ পনেরো লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ সিংড়া জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার সিদ্দিকুর রহমান বলেন, সেখানে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটে আগুন লাগার কোনো ঘটনা ঘটেনি। এমন ঘটনা ঘটলে আমাদের নজরে আসতো।
খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আফসারুজ্জামান বলেন, আগুনে ১১ ভাইয়ের বসতবাড়ির সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। তারা খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছেন। প্রাথমিকভাবে দেখে মনে হচ্ছে কেউ শত্রুতাবশত এ আগুন দিয়েছে। কারণ বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় বাড়ির এক পাশের বৈদ্যুতিক লাইন বিছিন্ন ছিল। তাই আগুনের সূত্রপাত সন্দেহজনক।