Logo
Logo
×

সারাদেশ

শামীম ও সেলিম ওসমানসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

Icon

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ০৬:১৮ পিএম

শামীম ও সেলিম ওসমানসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আলিফকে (১৮) গুলি করে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, তার ভাই জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানসহ ২০০ জনের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সকালে মামলার বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম। 

শামীম ওসমান, তার ভাই সেলিম ওসমান, ছেলে অয়ন ওসমান ও ভাতিজা আজমেরি ওসমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়া, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক ভূঁইয়া রাজু ও নাসিক ১নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আব্দুর রহিম মেম্বারসহ ৫৬ জনের নামে একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০-২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় এ মামলা করা হয়। 

মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালের ২১ জুলাই বিকাল ৩টা ১৫ মিনিটের দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সিদ্ধিরগঞ্জের ডাচ-বাংলা ব্যাংক এলাকায় ভিকটিমসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলন চলাকালীন সাবেক এমপি শামীম ওসমান, তার ভাই জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি সেলিম ওসমানের নির্দেশে এবং শামীম ওসমানের ছেলে অয়ন ওসমান, ভাতিজা আজমেরি ওসমান ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী ইয়াছিন মিয়ার নেতৃত্বে সশস্ত্র অবস্থায় মিছিলে হামলা চালায়। হামলায় তারা আগ্নেয়াস্ত্র, শর্টগান, পিস্তল, ককটেল, লাঠি, ইট-পাটকেল ও ধারালো অস্ত্র ব্যবহার করে।

হামলাকারীদের গুলিতে ভিকটিমের বাম পায়ের হাঁটুতে গুলি লাগে এবং তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা ট্রাস্ট হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্ট্রারে নিয়ে যান। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেন। চিকিৎসা শেষে বাদী থানায় মামলা করতে গেলে থানায় মামলা নিতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি আদালতে মামলার আবেদন করেন। 

এ মামলার বাদী আহত আলিফের বাবা অহিদ মিয়া পরিবার নিয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের ধনুহাজী রোড এলাকায় বসবাস করেন। 

 

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার অফিসান ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনূর আলম বলেন, আমরা আদালতের নির্দেশে বুধবার গভীর রাতে মামলাটি করেছি।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম