সিলেট-ম্যানচেস্টার রুটে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট চালু থাকবে। সিলেটের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীকে ফোনে এমন আশ্বাস দিয়েছেন বিমানের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। বুধবার এ ফোনালাপ হয়।

সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, নর্থ ইংল্যান্ডে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের দাবি নিয়ে বিমান চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলেছি। এ সময় ফ্লাইট চালু রাখার ব্যাপারে আশ্বাস দেন বিমান চেয়ারম্যান। টিকিটিং সিস্টেম চালু রাখতে তিনি ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।

আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, হজের ফ্লাইট নিয়ে বিভিন্ন রুটে বিমানের ফ্লাইট সাময়িকভাবে স্থগিত করা হতে পারে। তবে সেটি এখনো চূড়ান্ত নয়। যদি ভাড়ায় উড়োজাহাজ পাওয়া যায় তাহলে সিলেট-ম্যানচেস্টার রুটে বিমানের কোনো ফ্লাইট স্থগিত হবে না বলে চেয়ারম্যান আশ্বস্ত করেছেন।

তবে সিলেট-ম্যানচেস্টার রুটে মে মাস থেকে অনলাইনে টিকিটিং সিস্টেম বন্ধ রাখা হয়েছে।

আলাপকালে আরিফুল হক চৌধুরী সিলেট-ঢাকাসহ অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের ভাড়া নিয়েও কথা বলেন বিমান চেয়ারম্যানের সঙ্গে। আরিফের ভাষায়- সকাল-বিকাল ভাড়ার তারতম্য, অনেকটা যখন যা খুশি এটা হতে পারে না, দুঃখজনক। জবাবে বিমান চেয়ারম্যান বলেন, প্রাইভেট বিমানে আমার নিয়ন্ত্রণ নেই। আরিফ বলেন, আপনি শুধু বিমান নিয়ন্ত্রণ করেন, প্রাইভেটগুলো সিলেটবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আমরা দেখব।

এদিকে সিলেট-ম্যানচেস্টার ফ্লাইট বন্ধের আশঙ্কায় যুক্তরাজ্যে ও সিলেটে আন্দোলন করছেন প্রবাসীরা। এর ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার রাতে সিলেটের অভিজাত একটি হোটেলে সুধীজনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন ইউকে এনআরবি সোসাইটির নেতারা।

ওই সভায় বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, সিলেট-ম্যানচেস্টার রুটে বিমানের ফ্লাইট বন্ধ হলে জোরদার আন্দোলন শুরু করা হবে।

মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন- সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আরিফুল হক চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা তাহসিনা রুশদীর লুনা, ইউকে এনআরবি সোসাইটির পরিচালক ও প্রবাসী কমিউনিটি নেতা মো. জামাল উদ্দিন, খেলাফত মজলিসের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মো. মুনতাসির আলী, হবিগঞ্জের সাবেক এমপি শেখ সুজাত আলী, সিলেট নগর বিএনপির সভাপতি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, মহানগর জামায়াতে ইসলামীর আমির মো. ফখরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমদাদ হোসেন চৌধুরী, দৈনিক সিলেটের ডাকের অতিথি সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিক নজরুল ইসলাম বাসন, বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিক এসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. নাসিম আহমদ, ব্যবসা নেতা ও যাত্রীক ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী আব্দুল জব্বার জলিল, সিলেট ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি জিয়াউল হক, সিলেট প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল সিদ্দিকী, গণদাবি পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ, প্রবাস বাংলা টিভির সিও ও ইউকে এনআরবি সোসাইটির পরিচালক এম আহমদ জুনেদ, নর্থ ইংল্যান্ডের বার্লিং এলাকার সাবেক কাউন্সিলর আব্দুল মালেক ও যুক্তরাজ্য কমিউনিটি নেতা আব্দুল মালেক, সিলেট প্রেস ক্লাবের সভাপতি ইকরামুল কবির, সিলেট জেলা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, জেপিকেপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুর রহমান, দুর্নীতিমুক্ত ফোরাম বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক মকসুদ হোসেন, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রফেসর শামসুল ইসলাম, জৈন্তাপুরের বৃহত্তর ১৭ পরগনার সভাপতি আবু জাফর আব্দুল মাওলা চৌধুরী প্রমুখ।

এছাড়া সিলেটের রাজনৈতিক, সামাজিক ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা বক্তব্য রাখেন।