Logo
Logo
×

সারাদেশ

মেডিকেলে চান্স পেয়েও চিন্তিত তারা

Icon

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:০৫ পিএম

মেডিকেলে চান্স পেয়েও চিন্তিত তারা

চলতি শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন কিশোরগঞ্জের ভৈরবের রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের দুই শিক্ষার্থী। এতে খুশি কলেজটির সবাই। খুশি এলাকাবাসীও। তবে মেডিকেলে ভর্তি হওয়া নিয়ে চিন্তিত দুই শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবার। তাদের চিন্তা কিভাবে ভর্তির টাকা ও লেখাপড়ার খরচ জোগাবেন।

মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা হলেন- নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের মো. বাদশা মিয়ার মেয়ে শিমা আক্তার শিমু ও একই উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের গকুলনগর গ্রামের জিল্লুর রহমানের মেয়ে নুসরাত জাহান শশী। ভর্তি পরীক্ষা তারা দুজনে যথাক্রমে পেয়েছে ৭৬ দশমিক ২৫ ও ৭৫ দশমিক ৭৫ নাম্বার।

শিমুর বাবা বাদশা মিয়া পেশায় ভ্যানচালক। তার আয়েই চলে শিমুদের সংসার। এইচএসসিতে জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিমু শিক্ষকদের সহযোগিতায় লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছে। ভৈরব থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে তার বাড়ি। প্রতিদিন এই দূরুত্ব পাড়ি দিয়েই কলেজে আসতেন তিনি।

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়ে উচ্ছ্বসিত শিমু ও তার পরিবার। তবে তাদের দুশ্চিন্তা টাকা নিয়ে। লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার মতো আর্থিক অবস্থা নেই তার। শিমু বলেন, ‘মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে আনুমানিক ২০ হাজার টাকা লাগবে, তারপর আবার লেখাপড়ার খরচ। এ কারণে আমি চিন্তিত। আমি পড়তে চাই, এগিয়ে যেতে চাই। যদি লেখাপড়া করে ডাক্তার হতে পারি তবে মানুষের সেবা করে যাব।’

অন্যদিকে শশী থাকেন কলেজ হোস্টেলে। তার বাবা জিল্লুর স্থানীয় একটি হাসপাতালে মার্কেটিং বিভাগে চাকরি করেন। এইচএসএসসিতে জিপিএ-৫ পাওয়া শশীরা তিন বোন। ছোট বোনেরাও লেখাপড়া করে। তিনজনের লেখাপড়ার চালাতে হিমশিম জিল্লুর রহমান।

পাবনা মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শশী জানান, কলেজে পড়ার সময় শিক্ষকরা তাকে নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন। চান্স পেলেও মেডিকেলে ভর্তি ও ভবিষ্যত লেখাপড়ার টাকা জোগাড় নিয়ে তিনি খুবই চিন্তিত। শশী বলেন, ‘সামনের মাসের মধ্যে ভর্তি হতে হবে। হাতে সময় কম। কীভাবে টাকা জোগাড় হবে এ চিন্তায় ঘুম হারাম।’

রফিকুল ইসলাম মহিলা কলেজের অধ্যাপক সত্যজিৎ দাস ধ্রুব বলেন, ‘আমাদের কলেজ থেকে এবার সাত শিক্ষার্থী মেডিকেল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এদের মধ্যে দুজনের আর্থিক অবস্থা খুব খারাপ। শিক্ষার্থী শিমুর বাবা ভ্যানচালক। বেতন ছাড়া সে কলেজে পড়েছে। তার বইপত্র আমরা ফ্রি দিয়েছি। শশীর পরিবারেরও আর্থিক অবস্থা তেমন ভালো না। তার বাবাও অনেক কষ্ট করে মেয়েকে পড়াচ্ছে। দুজনকে কলেজ থেকে সহযোগিতা করার কথা ভাবছি।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম