Logo
Logo
×

সারাদেশ

বিয়ের ২ দিন পর প্রাণ গেল যুবকের

Icon

মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ০২:২১ পিএম

বিয়ের ২ দিন পর প্রাণ গেল যুবকের

পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় নির্মাণাধীন কালভার্টের গর্তে পড়ে রাকিব জমাদ্দার (২৩) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাত ১১টার দিকে উপজেলার চরখালি-মঠবাড়িয়া সড়কের ইকড়ি- ঝাউতলা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় সুব্রত হালদার (২০) নামে আরেকজন আহত হয়েছেন। ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমদ আনওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

নিহত রাকিব জমাদ্দার পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ভগিরতপুর ইউনিয়নের ছোটশৌলা গ্রামের কবির জমাদ্দারের ছেলে।

আহত সুব্রত হালদার পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের রবীন্দ্রনাথ হালদারের ছেলে।

স্থানীয় মিরুখালী ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মনির হাওলাদার বলেন, রাত ১১টার দিকে চরখালি থেকে আসা একটি মোটরসাইকেল চরখালি- মঠবাড়িয়া সড়কের ইকড়ি-ঝাউতলা বাজারের কাছে নির্মাণাধীন একটি কালভার্টের গর্তে পড়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থলেই আরোহী মারা যায়। আমি সংবাদ পেয়ে পুলিশে খবর দেই, তবে পুলিশ আসার আগেই পরিবারের লোকজন এসে লাশ বাড়িতে নিয়ে যায়। আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ভান্ডারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। শুনেছি সেখান থেকে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

নিহত রাকিব জমাদ্দারের বন্ধু সাইফ ইমন বলেন, রাকিব ও তার বন্ধু সুব্রত দুজনে মিলে ভান্ডারিয়ার আনসার খালি এলাকায় ঘুরতে যায়। ঘোরাফেরা শেষে মঠবাড়িয়ার ভগীরথপুর যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় রাকিব মারা গেছে। গত ১৮ জানুয়ারি রাকিব বিয়ে করেছিল। বিয়ের মেহেদী শুকনোর আগেই মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারা গেল।

এ বিষয়ে ভান্ডারিয়া থানা পুলিশের ওসি আহমদ আনওয়ার বলেন, দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ পাওয়া যায় নাই। নিহত রাকিব জমাদ্দারের পরিবার এসে ঘটনাস্থল থেকে লাশ বাড়িতে নিয়ে গিয়েছে। যেহেতু নিহতের বাড়ি পার্শ্ববর্তী মঠবাড়িয়া থানা এলাকায় তাই আমরা মঠবাড়িয়া থানায় যোগাযোগ করেছি। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মঠবাড়িয়া থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনা ভান্ডারিয়া থানা এলাকায় ঘটেছে তবে নিহতে বাড়ি মঠবাড়িয়ায়। নিহতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম