মেয়ে মেডিকেলে চান্স পেলেও দুশ্চিন্তায় বাবা!
সাতক্ষীরা প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩৭ পিএম
মেয়ে মেডিকেলে চান্স পেয়েছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পিতা। অর্থনৈতিক অসচ্ছলতা ও দরিদ্রতার কারণে মেয়ের পড়ালেখার খরচ জোগাতে পারবেন কিনা- সেই দুশ্চিন্তায় হিমশিম খাচ্ছেন মেধাবী ওই ছাত্রীর পিতা আবু বক্কার।
সম্প্রতি প্রকাশিত এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে নাদিরা খাতুন চাঁদপুর মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়েছেন। তিনি সাতক্ষীরার কলরোয়া উপজেলার বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রি কলেজ থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ২০২৪ সালে এইচএসসি পাশ করেন।
নাদিরা খাতুন সাতক্ষীরার কলরোয়া উপজেলার কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের ক্ষুদ্র সবজি দোকানদার আবু বক্কার ও গৃহিণী শামসুন্নাহারের তৃতীয় কন্যা। তিনি পিইসি, জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি সব পাবলিক পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হয়েছেন।
নাদিরা খাতুন জানান, তার লক্ষ্য অসহায়, দুস্থ ও অবহেলিত মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করা।
বোয়ালিয়া মুক্তিযোদ্ধা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ফারুক হোসেন জানান, তার কলেজের সদ্য সাবেক ছাত্রী নাদিরা খাতুন অত্যন্ত মেধাবী। তার পিতা ও পরিবার আর্থিকভাবে অসচ্ছল হলেও শিক্ষাক্ষেত্রে তাদের অবদান অত্যন্ত উজ্জ্বল। নাদিরার পিতা একজন ক্ষুদ্র সবজি দোকানদার। তার ভিটেবাড়ি ছাড়া তেমন কোনো জমি জায়গাও নাই। তবে তার চার মেয়েকে লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ করার চেষ্টা করছেন।
অধ্যক্ষ আরও জানান, নাদিরা খাতুন চার বোনের তৃতীয়। তার বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে, দ্বিতীয় বোন যশোর এমএম কলেজে বোটানিতে অনার্সে অধ্যয়নরত ও ছোট বোন বোয়ালিয়া ইউনাইটেড হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
নাদিরার পিতা ক্ষুদ্র সবজি বিক্রেতা আবু বক্কার জানান, তার বাড়ির পাশে ছোট্ট একটি দোকানে বসে তরিতরকারি বিক্রি করেন। এতে তার কোনোরকম সংসার চলে। মেয়েরা মেধাবী হওয়ায় লেখাপড়া করাতে কখনো কার্পণ্য করেননি।
তিনি জানান- তার তৃতীয় কন্যা নাদিরা এ বছর মেডিকেলে চান্স পেয়েছে, আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। তবে দুশ্চিন্তায় আছি তার লেখাপড়ার খরচ জোগাতে পারব কিনা। তিনি সচ্ছল ব্যক্তিদের কাছে সম্ভব হলে সহযোগিতা কামনা করেছেন।