ভর্তুকি মূল্যের সার বেশি দামে বিক্রি করছেন যুবলীগ নেতা
মুলাদী (বরিশাল) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ২১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৩০ পিএম
বরিশালের মুলাদীতে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে সরকারি ভর্তুকি মূল্যের সার বেশি দামে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে এক যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে। উপজেলার সফিপুর ইউনিয়ন যুবলীগের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মহিউদ্দিন স্বপন সরদারের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে।
মহিউদ্দিন স্বপন সরদার সফিপুর ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত খুচরা সার বিক্রেতা। তিনি সরকারি তালিকাভুক্ত পরিবেশকের (ডিলারের) কাছ থেকে সার নিয়ে কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে বেশি দামে বিক্রি করেন বলে অভিযোগ করেছেন ওই ইউনিয়নের কৃষকরা।
সফিপুর ইউনিয়নের সফিপুর গ্রামের সমিতিরহাট এলাকার কৃষক আতাহার ব্যাপারী বলেন, যুবলীগ নেতা মহিউদ্দীন স্বপন দলের প্রভাব দেখিয়ে খুচরা সার বিক্রেতা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন। ৫ আগস্টের পর থেকে তিনি অনেক সময়ই সার ক্রয় করেন না। আবার ডিলারের কাছ থেকে সার নিয়ে বেশি দামে বিক্রি করছেন। অতিরিক্ত লাভে সার বিক্রির লক্ষ্যে তিনি দোকানে মূল্য তালিকাও রাখেন না।
স্থানীয় কৃষকেরা অভিযোগ করেন, সরকার নির্ধারিত ইউরিয়া সারের মূল্য প্রতি কেজি ২৭ টাকা; কিন্তু মহিউদ্দীন স্বপন বিক্রি করেন ৩৩-৩৫ টাকা। ডিএপি প্রতি কেজি ২১ টাকার স্থলে ২৫ টাকা, এমওপি প্রতি কেজি ২০ টাকার পরিবর্তে ২৫ টাকা, টিএসপি প্রতি কেজি ২৭ টাকার পরিবর্তে ৩৫ টাকা বিক্রি করেন এই খুচরা বিক্রেতা। যেসব কৃষক তাকে সরকার নির্ধারিত মূল্যে সার বিক্রির দাবি জানান, তাদের তিনি সার দেন না।
এ ব্যাপারে মহিউদ্দীন স্বপন সরদার বলেন, ডিলারের কাছে সার না থাকায় বাইরে থেকে বেশি দামে সার কিনতে হয়। তাই কৃষকের কাছে ৪-৫ টাকা বেশি দামে সার বিক্রি করতে হচ্ছে।
তবে সার সংকটের কথা অস্বীকার করেছেন সফিপুর ইউনিয়ন সার ডিলার ইব্রাহীম মোল্লা। তিনি জানান, গুদামে পর্যাপ্ত সার রয়েছে এবং অন্যান্য খুচরা বিক্রেতারা নিয়মিত নিয়ে কৃষকদের কাছে বিক্রি করছেন। মহিউদ্দীন স্বপনও নিয়মিত সার নেন তবে তিনি বেশি দামে বিক্রি করেন কিনা জানা নাই।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, সরকারি ভর্তুকি মূল্যের সার বেশি দামে বিক্রি করা অপরাধ। ঘটনার সত্যতা পেলে ওই বিক্রেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিজাম উদ্দিন জানান, কৃষকদের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হলে ওই বিক্রেতার লাইসেন্স বাতিলসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।