Logo
Logo
×

সারাদেশ

আরাকান আর্মি ছেড়ে দিল আটকানো পণ্যবাহী জাহাজ

Icon

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

প্রকাশ: ২০ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৪০ পিএম

আরাকান আর্মি ছেড়ে দিল আটকানো পণ্যবাহী জাহাজ

মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুন থেকে টেকনাফ বন্দরে আসার পথে আটকানো ৩টি জাহাজের মধ্যে ২টি জাহাজ ছেড়ে দিয়েছে আরাকান আর্মি। যার মধ্যে রয়েছে আচার, সুপারি ও শুটকি মাছ।

সোমবার সকালে জাহাজগুলো টেকনাফ বন্দরে পৌঁছে। এ খবরে স্বস্তি ফিরেছে স্থল বন্দরের কর্মকর্তা, কর্মচারী, শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে। তবে কেন এতদিন জাহাজগুলো আরাকান আর্মি আটকে রেখেছিল তার সঠিক কারণ কেউ বলতে পারেনি। 

ব্যবসায়ীরা জানান, ১২ জানুয়ারি মিয়ানমার ইয়াঙ্গুন বন্দর থেকে টেকনাফ বন্দরে উদ্দেশ্যে রওনা করে ৩টি পণ্যবাহী জাহাজ। আসার পথে মিয়ানমার মংডু শহরের হাইয়ন খালী নামক এলাকায় তল্লাশির অজুহাতে পণ্যবাহী জাহাজগুলো আটকে রাখে মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। ৫ দিন পর জাহাজগুলো ছেড়ে দিয়েছে। যেখানে আমাদের কোটি কোটি টাকার পণ্য রয়েছে।

টেকনাফ স্থলবন্দরের ম্যানেজার ছৈয়দ আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মিয়ানমার থেকে পণ্যবাহী ৩টি জাহাজ টেকনাফ স্থলবন্দরে উদ্দেশ্যে আসার পথে আটকে রাখে মিয়ানমার সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মি। তারা মালামালের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করার কথা বলে জাহাজ তিনটি তাদের হেফাজতে রেখে দেয়। পরে সোমবার সকালে দুটি জাহাজ বন্দরের জেটি ঘাটে নোঙর করেন। 

এ বিষয়ে টেকনাফ স্থল বন্দরের ব্যবসায়ী এনামুল হাসান বলেন, মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সংঘাতের ফলে বর্তমানে দেশটির মংডু শহর আরকান আর্মির দখলে থাকায়, তারা যাচাই-বাছাই করার কারণে চারদিন অতিবাহিত হয়েছে। সোমবার জাহাজগুলো ছেড়ে দিয়েছে। মূলত যাদের কাছ থেকে পণ্য আমদানি করি তারা তাদের দেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করে ছেড়ে দিয়েছে। আটকানো আরেকটি জাহাজ কালকের মধ্যে টেকনাফে স্থলবন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করছি। 

টেকনাফ স্থল বন্দরের কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, রাজস্ব বিভাগের তথ্যমতে গত ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৭ হাজার মেট্রিক টন মালামাল আমদানির বিপরীতে রাজস্ব আদায় হয়েছে ২৫৭ কোটি টাকা। এছাড়া রপ্তানি হয়েছে ৬৩৬ মেট্রিক টন পণ্য। কিন্তু ২০২৪-২০২৫ চলতি অর্থ বছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত পণ্য আমদানি হয়েছে মাত্র ১১ হাজার মেট্রিক টন। রাজস্ব আদায় ৮৭ কোটি টাকা। এবং রপ্তানি হয়েছে ৬৯১ মেট্রিক টন মালামাল।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম